1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

শৃঙ্খলা বজায় রাখুন, বিক্ষোভকারীদের বাইডেন

৩ মে ২০২৪

মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাদের তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4fS74
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করছথে পুলিশ।
ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভস্থলের ছবি। পুলিশ একশজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। ছবি: Mario Tama/AFP/Getty Images

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, ''গণতন্ত্রে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু বিরোধিতা মানে সহিংসতা নয়। বিরোধিতা যেন বিশৃঙ্খলার দিকে না যায়।''

বাইডেন জানিয়েছেন, ''আমরা স্বৈরাচারী দেশ নয়,যেখানে আমরা যাবতীয় বিরোধকে চুপ করিয়ে দেব। আমরা এমন দেশ নয়, যেখানে আইনের শাসন চলে না। আমরা সভ্য দেশ, যেখানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।''

বাইডেন এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, ''অ্যামেরিকায় ইহুদিবিদ্বেষের কোনো জায়গা নেই। ইহুদি পড়ুয়াদের ভয় দেখানো যাবে না, তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি দেয়া যাবে না।''

বাইডেন বলেছেন, ''কোনো হেট স্পিচ বরদাস্ত করা হবে না। ইহুদিবিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া, আরব অ্যামেরিকান ও ফিলিস্তিনি অ্যামেোরিকানদের মধ্যে কোনো রকম অন্যায় সহ্য করা হবে না।''

বাইডেন এটাও জানিয়েছেন, ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করার দাবিও তিনি মানছেন না।

ইসরায়েলের অভিযোগ

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ''অ্যামেরিকার বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন ঘৃণা ও ইহুদিবিদ্বেষে কলুষিত হয়ে গেছে। আমরা আতঙ্কের সঙ্গে দেখেছি, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণকে ন্যায্য মনে করা হয়েছে এবং তা উদযাপন করা হয়েছে।''

প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ''ইসরায়েলের মানুষ আপনাদের পাশে আছে, আপনাদের কথা শুনছে, আমরা উদ্বিগ্ন।''

প্রতিনিধি পাঠাবে হামাস

হামাস জানিয়েছে, তারা মিশরে শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে এবং সেখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিনিধি পাঠাবে।

একটি বিবৃতিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে বলেছেন, তিনি মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর উপর জোর দিয়েছেন।

তবে হামাস নেতা জানাননি, কবে প্রতিনিধিদল মিশর যাবে। তিনি বলেছেন, আমাদের মানুষের দাবি মেনে নিলে এবং আগ্রাসন বন্ধ করলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব।

গত শনিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত হামাসের হাতে পৌঁছেছে। তারা এখন সেই সব শর্ত খতিয়ে দেখছে। 

হামাসকে জার্মানি, ইইউ, অ্যামেরিকার মতো বেশ কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)