1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুভ জন্মদিন অ্যাঞ্জি

১৭ জুলাই ২০০৯

৫৫ বছর পূর্ণ করলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর৷ দেখতে দেখতে চ্যান্সেলর হিসেবে অ্যাঞ্জি পার করে দিলেন প্রায় চার-চারটি বছর৷ সঙ্গে প্রত্যক্ষ করলেন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নানা টানা-পোড়েন৷

https://p.dw.com/p/IraU
১৯৭৩: আঙ্গেলা ডোরোথেয়া কাসনারছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

১৯৫৪ সালের ১৭ই জুলাই জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ থুড়ি, সে সময় আঙ্গেলার পুরো নাম ছিল - আঙ্গেলা ডোরোথেয়া কাসনার৷ বাবা হর্স্ট কাসনার ছিলেন একজন লুথেরিয়ান যাজক৷ এবং মা হ্যারলিন্ড কাসনার ইংরেজি ও ল্যাটিন ভাষার শিক্ষিকা৷ আঙ্গেলা, ভাই মার্কুস এবং বোন ইরেনে - তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন ম্যার্কেলই৷

বাবা-মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে খুব ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির জগতে ঢুকে পড়েন ম্যার্কেল৷ কিশোরী বয়সেই যোগ দেন এফডিজে বা মুক্ত জার্মান তরুণ দলের সঙ্গে৷ তার সঙ্গে সঙ্গে চলে লেখাপড়াও৷ ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত তদানিন্তন পূর্ব জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করেন৷ ১৯৭৭ সালে বিয়ে করেন সহপাঠি উলরিশ ম্যার্কেলকে৷ ১৯৭৮ থেকে ১৯৯০-এ বার্লিন-আলডেরসহোফের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর ফিজিকাল কেমিস্ট্রি অফ দ্য অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এ কাজ করেন গবেষক হিসেবে৷ আর সেখানেই কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রিতে তাঁর কাজের জন্য ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন ম্যার্কেল৷ শিখে নেন রুশ ভাষাও৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel
৫৫ বছর পূর্ণ করলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: AP

১৯৯০ সালে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগ থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন আঙ্গেলা৷ আর ১৯৯৪ সালে মনোনীত হন খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন বা সিডিইউ-র সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে৷ এছাড়া, চ্যান্সেলর হেলমুট কোল-এর আমলে প্রথমে নারী ও যুবমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন তিনি৷ আর তারপর, ২০০৫-এর ২২শে নভেম্বর জার্মানির চ্যান্সেলর পদে আসীন হন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তখন থেকেই খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন এবং সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সমন্বয়ে গঠিত জার্মানির গ্র্যান্ড কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷

এসময় তাঁর সামনে এসেছে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ৷ যার মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম৷ জার্মান শিল্পকে চলতি অর্থ সংকট থেকে বাঁচাতে রাষ্ট্রীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন ম্যার্কেল৷ প্রতিশ্রুতি দেন আফগানিস্তান, ইরান ইত্যাদি সমস্যার সমাধানেও৷ ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্রের ৬০তম বর্ষপূর্তি এবং বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সকল জার্মানের সম-অধিকার ও স্বাধীনতার কথা বলেন তিনি৷ বলেন, আমরা আমাদের মৌলিক আইন পালন করছি৷ পালন করছি মানবিক মর্যাদা এবং বিশ্বের অন্যতম ভাল সংবিধানটি৷

২০০৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সংস্কার কর্মসূচির জন্য শার্লেমেইন পুরস্কার পান অ্যাঞ্জি৷ তাই বিশ্লেষকরা প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের মতো ম্যার্কেলকেও লৌহ মানবী বলে আখ্যা দেন৷ কিন্তু এখানেই শেষ নয়৷ ইউরোপীয় র্পালামেন্টের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ইতিবাচক ফলাফলের পর, আগামী সেপ্টেম্বরের চ্যান্সেলর নির্বাচনেও জয়ী হবেন - এমনই আশা ম্যর্কেলের৷ অ্যাঞ্জির কথায়, আগামী দিনগুলিতে সব কিছু ভালো ভাবে হবে বলেই আমরা ভয়হীন, দৃঢ় বিশ্বাসী এবং আশাবাদী৷ স্বাভাবিকভাবেই, ম্যার্কেলের এই আশা পূর্ণ হলে, সেটাই হবে জন্মদিনের শ্রেষ্ঠ উপহার !

প্রতিবেদক: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার