শুন্য মহাকর্ষে উসাইন বোল্ট
কিংবদন্তী দৌড়বিদ ইউসেইন বোল্ট জীবনে অগণিত বার ঝড় তুলেছেন ট্র্যাকে৷ নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন বারবার৷ কিন্তু অবসরে যাওয়া বোল্ট এবার দিলেন এমন এক দৌড়, যা তিনি মনে রাখবেন সারা জীবন৷
বিশেষ বিমান
এই দৌড়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের এক বিমান৷ বিশেষ প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এয়ার বাস জিরো-জি প্লেনটি পরিচালনা করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি৷ কয়েক হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিমানটি মহাকর্ষের টানে বাধাহীনভাবে নিচে পড়তে দেয়া হয়৷ এ প্রক্রিয়ায় ২০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ওজন-শুন্যতা অনুভব করা যায়৷
শ্যাম্পেনের বোতল পরীক্ষা
বোল্টকে আকাশে নিয়ে গেলেও এই আয়োজনের আসল উদ্দেশ্য মহাকাশে খোলা যায় এমনভাবে নির্মিত একটি বিশেষ শ্যাম্পেনের বোতল পরীক্ষা করা৷ আর এ বোতলের ডিজাইন করেছেন সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট জেনারেল শার্ল দ্য গল-এর নাতির নাতি অক্টাভে দ্য গল৷
পৃথিবীর চেয়ে ভালো
ফরাসি মহাকাশচারী জ্যঁ ফঁসোয়া ক্ল্যাভোঁ জিরো-গ্র্যাভিটিতে শ্যাম্পেন খাওয়াকে পৃথিবীর শ্যাম্পেনের চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করেছেন৷ এর জন্য অবশ্য বিশেষ একটু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে৷ বোতলের মুখ খোলার পর এক বিশেষ ব্যবস্থায় ফেনা আটকে ফেলা হয়৷ তারপর শ্যাম্পেনের বল ভাসতে থাকে৷ বাতাসে ভেসে ভেসেই সেটা খেতে হয় মহাকাশচারীদের৷
অদ্ভুত এক দৌড়
বোতল পরীক্ষার আগে শুন্য মহাকর্ষে এক দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বোল্ট৷ তাঁর সাথে লড়াইয়ে নামেন ফরাসি মহাকাশচারী জ্যঁ ফঁসোয়া ক্ল্যাভোঁ এবং অক্টাভে দ্য গল৷ তবে যতটা সহজ মনে হচ্ছিল, বিষয়টা আসলে ততটা সহজ ছিল না৷ দৌড় শুরু করতেই শুন্যে ভাসতে শুরু করেন বোল্ট৷ শেষ প্রান্তে গিয়ে তো রীতিমতো ডিগবাজি খেয়ে পড়তে হলো তাঁকে৷
মজার অনুভূতি
এত চেষ্টা করে এত আস্তে মনে হয় জীবনেও দৌড়াননি বোল্ট৷ এতে বেশ মজাই পেয়েছেন তিনি৷ প্লেনে সাথে থাকা সাংবাদিকদের বলেছেন, জিরো-গ্র্যাভিটিতে দৌড়ানো তাঁর জন্য ‘অপার্থিব অভিজ্ঞতা’৷ ক্যান্ডির দোকানে গেলে শিশুরা যেমন খুশিতে আত্মহারা হয়, ৩২ বছরের এই জ্যামাইকান দৌড়বিদেরও তেমন অনুভূতিই হয়েছে৷