1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শুধু রাজন হত্যার বিচারই যথেষ্ট নয়'

২২ জুলাই ২০১৫

রাজন হত্যার পর দু'সপ্তাহ পেরিয়ে গেল৷ অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে৷ সবাই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কেউ কেউ বলছেন, রাজন হত্যার বিচারই যথেষ্ট নয়, শিশুদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/1G2aw
Screenshot YouTube Child beaten to death EINSCHRÄNKUNG

টুইটারে একজন রাজন সম্পর্কে আফসোস করে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে এই মিষ্টি শিশুটি আর জাগবে না৷''

একে একে সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের খবর টুইট করেছেন অনেকে৷

অভিযুক্তদের অবশ্য স্থানীয়রাই ধরিয়ে দিচ্ছেন৷ গ্রেপ্তারের পর অপরাধ স্বীকারও করেছে কোনো কোনো অভিযুক্ত৷

তবে #জাস্টিসফররাজন – রাজনকে নিয়ে বা তার বিচার দাবি করে লেখালেখি বেশ কমে গেছে ইতিমধ্যেই৷ তা দেখেই একজন লিখেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে, #জাস্টিসফররাজন ক্যাম্পেইন এখন শেষ হতে চলেছে৷ তবে সবাইকে জানিয়ে রাখতে চাই, বাংলাদেশে শিশুদের ওপর নিষ্ঠুরতার অনেক ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে৷ তাই এখানেই থেমে যাওয়া ঠিক হবে না৷''

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন মনে করেন, শুধু রাজনের বিচার যথেষ্ট নয়৷ সামহয়্যারইন ব্লগে তিনি লিখেছেন:

‘‘আজ সমগ্র জাতি শিশু রাজন হত্যার প্রতিবাদে একত্রিত৷ বিচারবর্হিভূত বা গনপটুনিতে মানুষ হত্যার প্রবণতা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়৷ তবে একটি শিশুর ওপর চালানো নৃশংসতা এবং তার হত্যাকাণ্ডের পর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যম ও সমাজে যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা বরাবরের তুলনায় বেশ তীব্র৷ এটা সমাজের সংবেদনশীলতার লক্ষণ এবং এই সংবেদনশীলতা গুরুত্বপূর্ণ৷....সৌদি প্রবাসী কামরুল প্রসাশন তথা পুলিশের সহযোগিতায় সৌদি পালাতে সক্ষম হলেও সেখানকার বাংলাদেশিরা তাকে কোনো সহযোগিতা করেননি বরং সেখানে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে ধরে সৌদি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে৷ এমনকি সিলেটের স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আরেক খুনি আলী হায়দার ওরফে আলীকেও আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়৷ কিন্তু সত্য হলো, প্রতিটা ঘটানার পরই আমাদের প্রসাশন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিশ্চুপ থাকে, রাজন হত্যার পরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি৷''

জনগণের প্রতিক্রিয়া এবং পুলিশের তৎপরতা সম্পর্কে ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন লিখেছেন, ‘‘সিলেটের সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব দেয়নি৷ নিহত সামিউলের দরিদ্র ও অসহায় বাবার অভিযোগ, তিনি থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে৷ এলাকাবাসী একের পর এক আসামিকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে, যা সত্যিকারে জনরোষেরই প্রতিফলন৷ আর এতেই খুব স্পষ্ট যে আসামিদের ধরার ব্যাপারে পুলিশের এই তৎপরতা গণমাধ্যমে ও সমাজে পরিস্ফুট জনমতের প্রবল চাপের তাৎক্ষণিক ফল৷ কিন্তু আমাদের দেশে কোনো ঘটনার পরই যখন সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রচণ্ড জনরোষ সৃষ্টি হয়, তারপরই রাষ্ট্রযন্ত্র তথা প্রশাসনের যে ঘটানার জন্য কাজের গতি অনেক গুণ বেড়ে যায়৷''

ওয়াসিম ফারুক নিজের ব্লগপোস্টের শেষাংশে লিখেছেন, ‘‘শুধু জনরোষের কারণে আসামি গ্রেপ্তার ও বিচার এ ধরনের ঘটনাকে কখনোই এ দেশ থেকে শেষ করতে পারবে না৷ এর জন্য সরকার, তথা আমাদের প্রশাসনকে হতে হবে সৎ ও স্বচ্ছ৷ আর আমরা যারা মানুষ বলে নিজেদের দাবি করছি, তাদের ভিতরে পুরোপুরি মানবিকতার জন্ম দিতে হবে৷ তা হলেই এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আমার ধারণা৷''

একই ব্লগে রাজন হত্যার ঘটনায় পুলিশের শুরুর দিকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাকিব আশরাফ লিখেছেন কবিতা৷ কবিতার নাম, ‘পুলিশ, পুলিশ'৷

কবিতার এক অংশে সাকিব পুলিশ সম্পর্কে লিখেছেন –

‘‘আসামীকে জেদ্দাতে পার
করলাম হেফাজতে,
টাইম টু টাইম খবরও নিলাম
কষ্ট হয়েছে পথে?
সৌদি যাওয়ার পরে শুনসি
খাইসে ওইটা ধরা,
ভাগ্যিস ওটার হাফ পেমেন্ট
আগেই ক্লিয়ার করা৷'

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান