1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুধু কি টাকার জন্য হত্যা করা হয়েছিল ফাহিমকে?

১৯ জুলাই ২০২০

সার্ভেইলেন্স ভিডিওতে দেখা গেছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিহত অ্যামেরিকান ফাহিম সালেহর সহকারি টাইরেজ হ্যাসপিল ইলেকট্রিক করাত কিনেছিলেন৷ এছাড়া ফ্লোর পরিষ্কার করার জিনিসপত্রও কেনেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3fYak
Fahim Saleh | Gründer und CEO in Manhattan Apartment ermordet
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Odusami

অ্যামেরিকান তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে শনিবার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোটিপতি ফাহিম সালেহ গেল সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের নিজস্ব বিলাসবহুল বাসভবনে নৃশংসভাবে খুন হন৷ তার মাথা ও শরীরের অংশগুলো কেটে আলাদা করে করা ছিল৷ ফাহিমের এক বোন তার লাশ উদ্ধার করেন৷

আসামী হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ হ্যাসপিল অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন৷ তবে আদালত তাকে জামিন দেননি৷

সোমবার বিকেলে তদন্তকারীরা সিকিউরিটি ক্যামেরার ভিডিও উদ্ধার করেন৷ সেখানে দেখা যায়, ফাহিমের পেছন পেছন হ্যাসপিল (পরে চিহ্নিত) লিফট দিয়ে ওঠেন৷ অভিযোগে বলা হয়েছে, দুই বেডরুমের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটটিতে এরপর ফাহিমকে একটি স্টানগান দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ মঙ্গলবার একটি হার্ডওয়্যার স্টোরের ফুটেজে দেখা যায়, সেদিন সকালে হ্যাসপিল একটি ইলেকট্রিক করাত ও ঘর পরিষ্কার করার পণ্য কিনছিলেন৷

হ্যাসপিলের অ্যাটর্নির যুক্তি, যেহেতু এই ২১ বছর বয়সী যুবকের আগের কোন অপরাধের রেকর্ড নেই, তাই অভিযোগের বাইরেও ঘটনা থাকতে পারে৷

USA New York | Mutmaßlicher Mörder von Fahim Saleh wird von der New Yorker Polizei abgeführt
আসামী হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Munoz Alvarez

‘‘আমরা এখনো খুব প্রাথমিক পর্যায়ে আছি৷ এই মামলা দীর্ঘসূত্রী ও জটিল হবে,’’ বিবৃতি দেন হ্যাসপিলের আইনজীবীদের সংগঠন লিগ্যাল এইড সোসাইটির দুই অ্যাটর্নি স্যাম রবার্টস ও নেভিল মিশেল৷

ফাহিমের ঘাড় ও গলায় পাঁচটি কোপের দাগ পাওয়া গেছে৷ এছাড়া কাঁধে ও বাঁ হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে৷ আদালতে জমা দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার হাঁটুর ঠিক নীচে থেকে, কাঁধ ও গলা থেকে কেটে ফেলা হয়েছে৷

নিজের যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দিয়ে অতি অল্প বয়সে সাফল্য পান কোটিপতি ফাহিম৷ তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাওয়ের একজন প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন৷ পরবর্তীতে নাইজেরিয়ায় গোকাডা নামে একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে৷ ডিজিটাল স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করতেন শুরু থেকেই৷ তিনি ছিলেন টেক মিলিওনেয়ার৷ যে বাড়িটিতে তিনি থাকতেন তার দাম কয়েক লাখ ডলার৷

সহকারি হ্যাসপিল তার আর্থিক বিষয়গুলো দেখতেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, ফাহিমের অনেকগুলো টাকা নয়ছয় করেছিলেন হ্যাসপিল৷ সেগুলো নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই এই খুন করা হতে পারে৷

ম্যানহাটানের তদন্ত পুলিশ বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন মঙ্গলবার প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘‘মনে করা হচ্ছে, অপরাধের শিকার ব্যক্তির অভিযুক্তের কাছে বড় অঙ্কের অর্থ পাওনা ছিল৷’’ এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কি না তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে৷

জেডএ/এফএ (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান