1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যজার্মানি

শীতকালে ভাইরাসে আক্রান্ত জার্মানির শিশুরা

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

২০২২ সালের শেষে জার্মানিতে আরএসভি ভাইরাসের কারণে শিশুদের হাসপাতালে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল৷ এই ভাইরাসের কারণ, চিকিৎসা ও নিরাময়ের পরের আচরণ বলেছেন এক চিকিৎসক৷

https://p.dw.com/p/4N8V3
Deutschland Stuttgart | Kinderklinik
ছবি: Sebastian Gollnow/dpa/picture alliance

জার্মানির রুসেল্সহাইম শহরের শিশু হাসপাতালে আর প্রায় কোনো বেড খালি নেই৷ আরএসভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশেষ করে নবজাতক ও ছোট শিশুরা শ্বাসযন্ত্রের কষ্টে ভুগছে৷ শিশু চিকিৎসক হিসেবে মারিও বেয়ারভাল্ড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যস্ত৷ এমন অবস্থার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আরএসভি-র অর্থ রেস্পিরেটরি সিন্সিশিয়াল ভাইরাস৷ প্রতি দুই বছরে এই ভাইরাসের প্রকোপে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে৷’’

মিয়াও আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে৷ শ্লেষ্মা দূর করতে তাকেনিয়মিত শ্বাস নিতে হচ্ছে৷ বাবা আলেক্সের সঙ্গে সে দুই দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছে৷ আলেক্স বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী আমাকে বললো, মিয়া মোটেই ভালো নেই, তার খুব কাশি হচ্ছে৷ আমি বললাম, রাতেও ভালো না থাকলে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না৷ এখানে আসতেই তাকে ভর্তি করিয়ে নেওয়া হলো৷’’

শিশু চিকিৎসক হিসেবে মারিও বেয়ারভাল্ড এই রোগের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বলেন, ‘‘সদ্যোজাত থেকে শুরু করে দুই বছরের কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বড় ভাইবোনরা কিন্ডারগার্টেন থেকে এই ভাইরাস বহন করে আনে৷ ছোট শিশুরা শুধু কাসির মাধ্যমে শ্বাসনালীতে জমা হওয়া শ্লেষ্মা দূর করতে পারে না৷ সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ তারা ঠিকমতো কিছুই পান করতে না পারলে সেই অবস্থা স্পষ্ট বোঝা যায়৷ আবার তরল না থাকলে শ্লেষ্মা গলে যেতে পারে না৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় তখন তাদের কৃত্রিমভাবে ব্রিদিং এইড দিতে হয়৷ অর্থাৎ আইসিইউ-তে ভর্তি করে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিশ্চিত করতে হয়৷’’

নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাস ও তরল প্রবেশ করানোর ফলে মিয়ার অবস্থার উন্নতি হয়েছে৷ তবে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে মারিও বেয়ারভাল্ড তার রোগীকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নন৷

শিশুদের আরএসভি ভাইরাস: মুক্তির উপায় কী?

মারিও শিশুর বাবা-মার কাছে অবস্থা জানতে চাইলেন৷ সে খলছে বটে, কিন্তু তরল পান করতে পারা জরুরি৷ তবে প্রথম দিনের তুলনায় মিয়ার অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে৷ সে ৩০-৪০ মিলিলিটার পান করতে পেরেছে৷ তবে স্যাচুরেশনের মাত্রা এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় তাকে আরো এক রাত হাসপাতালে থাকতে হবে৷

অক্সিজেন স্যাচুরেশন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দেখিয়ে দেয়৷ সেই মাত্রা খুব কমে গেলে শরীরের অনেক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে৷ মারিও বেয়ারভাল্ড বলেন, ‘‘সে কারণে সামান্য স্যাচুরেশনের পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া একেবারেই দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত হতে পারে না৷ আরও আরএসভি রোগীর চাপে কোনোরকমে বেড খালি করার তাগিদে সেটা করা উচিত নয়৷ যে সব রোগী ভর্তি আছে, তাদের ঠিকমতো চিকিৎসা করা জরুরি৷’’

বেড খালি করার চাপ সত্ত্বেও পরিবারটিকে কমপক্ষে আরও এক রাত হাসপাতালে থাকতে হবে৷ কম বেড খালি থাকলে কাজও বেড়ে যায়৷ টেলিফোন বেজেই চলে, এমারজেন্সিতে আসা রোগীদের সমন্বয় করতে হয়৷ মারিও বেয়ারভাল্ড অবস্থার বর্ণনা করে বলেন, ‘‘অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আমাদের হাসপাতাল লাল হিসেবে চিহ্নিত করা আছে, কারণ আমাদের এখানে কোনো বেড খালি নেই৷ একটি বেড খালি হলেই টেলিফোন এলে সেটি আবার ভরে যাচ্ছে৷ ফলে বেড কখনোই খালি হচ্ছে না৷’’

পরের দিন মিয়ার বাবা-মা ডাক্তারের মুখে সুখবর পেলেন৷ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে পরিবারটি বাসায় যেতে পারে৷ মারিও বলেন, ‘‘এখন আর বেশি কিছু করার নেই৷ শুধু অনেক তাজা বাতাস জরুরি৷ ঘর ঠাণ্ডা রাখতে হবে৷ অথবা ফ্ল্যাটে তাজা বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে৷ বাইরে বেরিয়ে হাঁটতে হবে৷’’

এর ফলে ইমিউন সিস্টেম আরো শক্তিশালী এবং রক্ত সঞ্চালন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হবে৷

জানিন আস্পেল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান