শিয়া তরুণদের সাজা কমালো সৌদি আরব
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়ার সময় আলি আল-নিমরের বয়স ছিল ১৭৷ তিনি প্রখ্যাত শিয়া পণ্ডিত নিমর আল-নিমরের ভাতিজা৷ ২০১৬ সালে নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে সৌদি আরব ও ইরানে প্রতিবাদ হয়েছিল৷
সৌদি আরবের বিশেষায়িত অপরাধ আদালত আলি আল-নিমর সহ দাউদ আল-মারহুন ও আব্দুল্লাহ আল-জাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল৷ তাদের শিরশ্ছেদ করা হতো৷
গ্রেপ্তারের সময় মারহুনের বয়স ছিল ১৭ আর জাহেরের ১৫৷
রয়টার্সকে এইচআরসি জানিয়েছে, নিমর নয় বছরের বেশি সময় জেল খেটেছেন৷ রবিবার তার সাজা কমানো হয়৷ মারহুন ও জাহেরের সাজা কমানো হয় গত নভেম্বরে৷
এই তিনজনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে জেলে কাটানো সময় গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছে এইচআরসি৷ ফলে ২০২২ সালে তারা মুক্তি পেতে পারেন৷
ছেলের সাজা কমানোর খবর শুনে নিমরের মা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘শিগগির স্বাধীনতা, আল্লাহর ইচ্ছা৷''
সরকারের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেসন্সের কাছে এসব তথ্যের সত্যতা জানতে চেয়েছে রয়টার্স৷ তবে এখনো উত্তর পাওয়া যায়নি৷
পাঁচ মাস আগে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউটর ঐ তিন তরুণের বিরুদ্ধে দেয়া রায় পুনরায় বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷
তারও আগে, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে যারা অপরাধ সংঘটনের সময় নাবালক ছিলেন তাদের সাজা কমিয়ে তাদেরকে কিশোর সংশোধনাগারে ১০ বছর বন্দি রাখতে একটি রয়েল ডিক্রি জারি করা হয়েছিল৷
অবশ্য সরকারি গণমাধ্যম কিংবা গেজেটে কখনো এই ডিক্রি প্রকাশ করা হয়নি৷
এইচআরসি জানিয়েছে, এই ডিক্রি বর্তমানে আটক থাকা সব নাবালকের জন্য কার্যকর হবে৷
মৃত্যুদণ্ডবিরোধী সংগঠন রিপ্রাইভ তিন তরুণের সাজা কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তবে এই ডিক্রি যেন সব কিশোরের ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয় সেই আহ্বান জানিয়েছে৷ ‘‘সত্যিকারের পরিবর্তন মানে কিছু হাই-প্রোফাইল কেসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া নয়, এর মানে হচ্ছে, এটা নিশ্চিত করা যে, সৌদি আরবে আর কখনো শিশু বয়সে করা ‘অপরাধের' দায়ে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না,'' বলেন রিপ্রাইভের পরিচালক মায়া ফোয়া৷
২০১৯ সালে সৌদি আরবে ১৮৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ এইচআরসি বলছে, ২০২০ সালে সেই সংখ্যা প্রায় ৮৫ ভাগ কমিয়ে আনা হয়েছে৷ গতবছর মোট ২৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)