শিশুদের জন্য আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বিশ্ব
বিশ্বের অন্তত ১৮ কোটি শিশুর ভবিষ্যৎ খুব ভয়ংকর৷ কিছু দেশ নানাবিধ সংকট থেকে বের হতে না পারলে এই শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা পাবে না, দারিদ্র্যে জর্জরিত হবে, সহিংসতায় মরবেও অনেকে৷ দেখুন ছবিঘরে...
খোদ ইউনিসেফ বলছে...
সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ সব আশঙ্কার কথা জানিয়েছে৷ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা, প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ এবং সহিংসতা থেকে দূরে থাকার পরিবেশ আছে কিনা – মূলত এই তিনটি বিষয় বিশ্লেষণ করেই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ৷
শতকরা ১২ জন শিশুর সামনেই বিপদ
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ মুহূর্তে মোট ২২০ কোটি শিশু রয়েছে৷ ইউনিসেফ-এর প্রতিবেদন বলছে, এই ২২০ কোটির মধ্যে শতকরা ১২ জন শিশুরই বাকি জীবন ভালো কাটার সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ বলা হয়েছে, ২০ বছর আগের পূর্বসূরিদের চেয়েও তাদের জীবন উন্নয়নের সম্ভাবনা কম৷
বিপদে ৩৭টি দেশের শিশু
প্রতিবেদনে বিশ্বের ৩৭টি দেশের শিশুদের নিয়ে বেশি শঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷ শঙ্কা প্রকাশের কারণ, এই দেশগুলোতে অর্থনীতি, প্রাথমিক শিক্ষা এবং নাগরিক নিরাপত্তা – এই তিনটির মধ্যে অন্তত একটি ক্ষেত্রে খুব বেশি অবনতি লক্ষ্য করা গেছে৷
মূল কারণ
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সংঘাত, অর্থনৈতিক সংকট এবং অপশাসন – মূলত এ সব কারণেই দেখা দিচ্ছে সংকট এবং পরিণামে শিশুরাও ভুগছে৷
যে দেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ
ইউনিসেফ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে দক্ষিণ সুদানের শিশুরা৷ ২০১১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করা বিশ্বের নবতম দেশটিতে অর্থনৈতিক দুরবস্থা, নাগরিক নিরাপত্তার অভাব এবং সন্ত্রাস – তিনটিই বিদ্যমান৷ দেশটির অন্তত ২০ লাখ মানুষ এখন ক্ষুধাপীড়িত৷
যুদ্ধের কারণে শিশুমৃত্যু বাড়ছে
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইরাক, লিবিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন এবং ইয়েমেনে সহিংসতার কারণে ১৯ বছরের কম বয়সিদের মৃত্যুর হার বেড়েছে৷
বাড়ছে দারিদ্র্য
দিনে মাত্র ১ দশমিক ৯ ডলার বা ৮৫ ইউরো সেন্ট ব্যয় করে জীবন নির্বাহ করতে হয় এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৪টি দেশে৷ জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের ২২০ কোটি শিশুর মধ্যে শতকরা ১৯ ভাগই দারিদ্র্যসীমার অনেক নীচে বাস করছে৷
কমছে শিক্ষালাভের সুযোগ
ইউনিসেফ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়া, বলিভিয়া, জর্ডান এবং তাঞ্জানিয়াসহ ২১টি দেশে প্রাথমিক শিক্ষার হার কমেছে৷