1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শিল্পোন্নত দেশগুলি আরও দরকষাকষি করছে’

২৮ মে ২০১২

কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো না থাকলে চরম অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/153J9
ছবি: AP

বন শহরে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের বার্ষিক প্রস্তুতি বৈঠকে এই বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ'এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর৷

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের এই প্রস্তুতি বৈঠকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফারাহ কবীর বলেন, এখানে শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতানৈক্য কাটানোর চেষ্টা করে থাকে৷ কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সবাই অত্যন্ত চিন্তিত৷ এই কাঠামোর আওতায় এতকাল বিভিন্ন দেশকে অন্তত আলোচনার টেবিলে আনা যেত, তাদের কিছুটা দায়বদ্ধ করা যেত, তাদের উপর কিছু দায়িত্ব বর্তাত৷ এছাড়াও যে কোনো নীতি, আইন ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন কাঠামোর অভাবে সেই উদ্যোগ আরও কঠিন হয়ে যাবে৷

ফারাহ কবীর আরও জানালেন, ২০১১ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে কিয়োটো প্রোটোকল-পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ আপাতত এক অন্তর্বর্তীকালীন কাঠামোর কথা বলা হচ্ছে৷

Klimakonferenz in Bonn
ছবি: AP

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ তার অন্যতম৷ ফারাহ কবীর জানালেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আলোচনার এই কাঠামোয় এলডিসি বা অনুন্নত দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব করছে৷ জি-সেভেন্টিসেভেন গোষ্ঠীর মধ্যেও সক্রিয় বাংলাদেশ৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে৷ বিশেষ করে নীতি-নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে ও তহবিল তৈরি করে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে৷

বর্তমান আলোচনার প্রক্রিয়ায় শিল্পোন্নত দেশগুলি আবার বেশ দরকষাকষি শুরু করেছে বলে জানালেন ফারাহ কবীর৷ তারা উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছে৷ তারা বলছে, কোনো দেশ শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপদের মুখে পড়ছে না৷ প্রশাসনিক দুর্বলতা ও দুর্নীতিও এর বড় কারণ৷ অতএব দায় সেই সব দেশের৷ এইভাবে অন্যদের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ ফারাহ কবীরের মতে, বাস্তব পরিস্থিতি হলো এই যে, সব দেশের জন্য এখনো সমান সুযোগ তৈরি হয় নি৷ কার্বন নির্গমন কমাতে আজ চীন বা ভারতের মতো দেশের কৃষকদের কার্যকলাপ কমাতে বললে সেসব দেশের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে৷ কৃষকরাই বা কেন সেই দাবি মেনে নেবে! অন্যদিকে শিল্পোন্নত দেশগুলি দিব্যি তাদের কৃষকদের ভর্তুকি সহ অনেক সুবিধা দেয়৷

তার পরেও এই ধরণের সম্মেলনে অংশগ্রহণের উপযোগিতা আছে বলে মনে করেন ফারাহ কবীর৷ কারণ সেখানে বিষয়গুলি তুলে ধরা যায়৷ যেমন চলতি বছর কৃষির বিষয়টিকে আলোচ্যসূচিতে রাখার প্রবল চেষ্টা চলছে৷ টেকসই উন্নয়নের বিষয়টিকেও যথাযোগ্য মর্যাদা দেবার উদ্যোগ চলছে৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য