1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিবিরের মুখে ‘জয় বাংলা'

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩

কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের সমর্থনে বুধবার পুলিশি বাধা এড়াতে রাজধানীর মহাখালীতে ছাত্রশিবিরের একদল কর্মীকে ‘জয় বাংলা' স্লোগান দিতে দেখা গেছে৷

https://p.dw.com/p/19jz8
Activists of Hefajat-e-Islam shout slogans during a rally in Dhaka April 5, 2013. An activist of Bangladesh Awami League was killed and more than ten people were injured as police opened fire during a clash between the activists of Hefajat-e Islam and Bangladesh Awami League in Kamrangirchar area of the capital on the eve of the Islamist party�s long march on Friday. Hefajat-e-Islam, a radical Islamist party, are planning a march on April 6 to demand capital punishment for a group of bloggers, who organised the Shahbagh demonstration, and for the introduction of blasphemy laws, reported local media. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ওয়্যারলেস গেইটের সামনের সড়কে পাঁচ-ছয় যুবক ‘জয় বাংলা' স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায়

এ প্রসঙ্গে অমি রহমান পিয়াল তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইতিহাসের কিছু তথ্য তুলে ধরেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং চূড়ান্ত বিজয় লাভের পরে মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে যার যার বাসভূমে ফিরে যেত৷ তো সেই সময় কিছু রাজাকারও ওত পেতে থাকত আর জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে মিশে যেত মুক্তিযোদ্ধাদের কাফেলার সাথে৷ রাজাকারের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে জামাতের ...গুলা ওদের বাপেদের দেখিয়ে দেওয়া পথেই এগিয়ে যাচ্ছে, নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আশ্রয় নিচ্ছে আবারও সেই পুরনো কুটকৌশলের, ব্যবহার করছে জয় বাংলা স্লোগানের...''

পিয়ালের এই মন্তব্যের নীচে রিয়াজ সোহেল লিখেছেন, ‘‘ওদের দরকার ক্ষমতা৷ ক্ষমতার জন্যে প্রয়োজনে শিবিরই স্লোগান দিবে ‘ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার-তুই রাজাকার'৷''

এদিকে, সবাক পাখি (সুমন সওদাগর) ফেসবুকে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি সংবাদ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘শিবিরের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ওই পুলিশ সদস্যের নয়, বরং বাংলাদেশের বুক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে৷ একটা মানবাধিকার সংস্থাও খুঁজে পাচ্ছি না৷ সবগুলো কোথায় যে গেলো!'' অনুপম চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‘মানবাধিকার এই মুহূর্তে ঘুমে আছে, আর সুশীলদের রাতের টকশোতে পাওয়া যাবে৷''

সামহয়্যার ইন ব্লগে হরতাল নিয়ে নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এম এ হাসান মাহামুদ৷ তাঁর লেখার শিরোনাম ‘হরতাল যে কীভাবে ঢুকে গেছে মগজে...'৷ তিনি লিখেছেন, বুধবার দুপুরের দিকে মতিঝিলের জীবন বিমা ভবনের ১৩ ও ১৪ তলার মাঝামাঝিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনলাইনে পড়ে তাঁর এক আত্মীয় ফোন করে তাঁকে অফিসে না যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ তিনি তাঁর আত্মীয়কে বোঝান যে এটা একটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, পিকেটারদের নয়, কিন্তু তাতেও কাজ হয় না৷

এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মাহামুদ লিখেছেন, ‘‘চলমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে ক'দিন পরে আমরা কুকুরের ঘেউ ঘেউ শুনেও ভয় পাবো, তারা কি এটা বোঝে না? বোঝে না, দেশটা শুধু রাজনীতিওয়ালাদের না, আমাদের মতো ছা-পোষা মানুষগুলোও এখানে বাস করে...!!!''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন