1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্ত্রীর ডক্টর উপাধি গেল!

ক্লরা ভাল্থার/এসি৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

১৯৮০ সালে ড্যুসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর উপাধি নিয়েছিলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল মন্ত্রীসভার শিক্ষা ও গবেষণামন্ত্রী, সিডিইউ রাজনীতিক আনেটে শাভান৷ কিন্তু তাঁর ডক্টরাল থিসিস-এর বহু অংশ নাকি স্রেফ নকল করা৷

https://p.dw.com/p/17ZLG
ছবি: DW/D.Zúñiga

তাবৎ পরীক্ষা, অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের পর ড্যুসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয় আনেটে শাভানের ডক্টর উপাধি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সিএসইউ দলের আরেক মন্ত্রী কার্ল-থিওডোর সু গুটেনব্যার্গের ঠিক এইভাবেই পতন ঘটেছিল৷ আর এই গুগল-এর যুগে কে তাঁর গবেষণাপত্রের কোনখানটা এবং কতটা অন্যের কাছ থেকে ‘‘ধার’’ করেছেন এবং সেটা যে উদ্ধৃতি, সেটা দেখাতে ভুলে গেছেন, তা বার করা কিছুই নয়৷ কাজেই জার্মানিতে বিশেষ করে নামকরা রাজনীতিকদের বহু বছর আগে লেখা ডক্টরেটে সে ধরণের ফাঁকফোকর বার করাটা একটা জনপ্রিয় খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ গতবছরের মে মাসে এক অজ্ঞাত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শাভানের ডক্টরেট লেখার নকল কি ‘‘উদ্ধৃতির’’ অংশগুলো ফাঁস করে দেন৷

Green Talent Preís
মন্ত্রীত্বও বাঁচাতে পারছেনা তাঁকেছবি: DAAD

মুশকিল এই যে, এ ধরণের ফাঁকিটা স্বেচ্ছাকৃত, না ভুলো মনের পরিচয়, সেটা কে বলবে? শাভান বলে চলেছেন, তিনি নকল করেননি৷ অথচ বিরোধীদলগুলির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছে৷ এছাড়া শাভানের রাজনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি যাই হোক না কেন, এ ধরণের কেলেঙ্কারিতে প্রতিবারেই আসল ক্ষতি হয় সেই সব রিসার্চ স্কলার ও গবেষকদের, যাঁরা সৎ ও সঠিকভাবে কাজ করেন৷ গোটা ডক্টরেট ডিগ্রিটাই যেন একটা হাস্যকর বস্তু হয়ে ওঠে৷ প্রফেসর বের্নহার্ড কেম্প জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির প্রেসিডেন্ট, স্বয়ং কোলোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক আইনের শিক্ষক৷ তিনি ডক্টর উপাধির ঐ মূল্যহ্রাস নিয়েই চিন্তিত, ‘‘আমার চিন্তা এই নিয়ে যে, এই ঘটনা থেকে ধারণা হতে পারে, শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সব কিছু ঠিকমতো হচ্ছে না, ফাঁকি দেওয়াটা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এবং সেটাই আমার উদ্বেগ: যাঁরা পুরোপুরি সঠিকভাবে ও কোনো ভুলভ্রান্তি ছাড়াই গবেষণার কাজ করেন, তাদের কি হবে৷’’

এটা হলো দেশের অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিকোণ থেকে৷ কিন্তু বহির্বিশ্বেও তার প্রতিফলন ঘটতে পারে৷ প্রফেসর কেম্প বলেন, ‘‘শেষমেষ বিশ্বাসযোগ্যতাই হলো সেই মুদ্রা, যা দিয়ে আমরা অপরাপর দেশের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় করি৷ জ্ঞানবিজ্ঞানের দেশ হিসেবে আমরা যখন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা করি, তখন আমরা তা করতে পারি কেননা আমাদের ডিগ্রি-উপাধিগুলির একটা মূল্য আছে, তাদের বৈধতার উপর আস্থা রাখা যায়৷ সেই আস্থা নাড়া খেলে, গোটা প্রণালীটাই বিপদগ্রস্ত হবে৷’’

জার্মানিতে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ গবেষণা ও বিকাশের কাজে সংশ্লিষ্ট, অর্থাৎ সেটাই তাঁদের জীবিকা৷ গবেষণাভিত্তিক, সারা বিশ্বে ‘পেটেন্ট’ করা পণ্য ও প্রক্রিয়ার জন্য জার্মানি বিখ্যাত৷ বাইরে থেকে বহু শিক্ষার্থী আসেন জার্মানিতে গবেষণা করতে৷ ২০১০ সালে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি রিসার্চ স্কলারদের সংখ্যা ছিল ৩,৭০০ – তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে৷ এমন একটি দেশ তার এই খ্যাতি ও পরিচিতিকে হাস্যাস্পদ করে তুলতে পারে না – শিক্ষা ও গবেষণামন্ত্রী আনেটে শাভান যা করেছেন বলে অভিযোগ৷
 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য