1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে দুই ঘণ্টা কথা বাইডেনের

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন জো বাইডেন। দুই ঘণ্টা ধরে।

https://p.dw.com/p/3pFVS
শি জিনপিং-কে অনেক দিন ধরেই চেনেন বাইডেন।

ট্রাম্পের আমলে চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশ্ব জুড়েই প্রশ্ন ছিল, তিনি কি চীন সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন করবেন? দায়িত্বভার নেয়ার পর বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। এবার বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। বাইডেনই জানিয়েছেন, দুই ঘণ্টা ধরে কথা হয়েছে।

বাইডেন বলেছেন, ''ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম, তখন থেকেই শি জিনপিং-কে জানি। আর আপনারা এটাও জানেন, আমরা যদি উদ্যোগী না হই, তাহলে ওরা আমাদের লাঞ্চ খেয়ে চলে যাবে।'' শেষ কথাটা বাইডেন বলেছেন, রেল ও অন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চীনের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ নিয়ে।

এখনো পর্যন্ত বিশ্বের যতজন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন, তার মধ্যে এটাই ছিল সব চেয়ে বেশি সময় ধরে চলা আলাপ। বাইডেন সেখানে আর্থিক ও সামরিক বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়তে পারে তার উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে পরিবেশ ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন শি-র সঙ্গে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তি, বাণিজ্য অসাম্য, মানবাধিকারের প্রসঙ্গও আলোচনায় এসেছে।

এই আলোচনার আগেই চীনে উইগুর মুসলিম এবং হংকং-এর গণত্রপন্থিদের উপর যে ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''বাইডেন  অ্যামেরিকার নাগরিকদের সুরক্ষা, সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য রক্ষার কথা বলেছেন এবং ইন্দো-প্যাসিফিককে অবাধ ও মুক্ত করার কথা উপর জোর দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি তাইওয়ান, শিনজিয়াং প্রদেশ ও হংকং-এ চীনের নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।''

বাইডেন-শি-র কথার পরই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে চীনের প্রতি ট্রাম্পের আমলের নীতি কি বদলাবেন বাইডেন? কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, মানবাধিকারের প্রশ্নে চীনের প্রতি কড়া মনোভাব নিলেও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নীতি পরিবর্তন করতে পারেন বাইডেন। ট্রাম্প যেভাবে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা লঘু করা হতে পারে।

এক উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ''চীনের প্রতি কী ধরনের নীতি নেয়া উচিত সেই ধারণা বাইডেনের আছে। তিনি সেভাবেই এগোতে চান। তিনি যোগাযোগের পথ সবসময় খুলে রাখতে চান।''

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, সিএনএন)