1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

শি জিনপিংকে কিয়েভে আমন্ত্রণ জেলেনস্কির

৩০ মার্চ ২০২৩

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বুধবার জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্টকে কিয়েভে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে বাখমুতের লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4PTHg
বাখমুত
ছবি: Valentin Sprinchak/TASS/IMAGO

পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার প্রাইভেট আর্মি ভাগনার গ্রুপের তীব্র লড়াই চলছিল। বুধবার ভাগনার গ্রুপের প্রধান জানিয়েছেন, বাখমুতে তাদের সেনাবাহিনীর বিপুল ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর সেনার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা বাখমুতের অধিকাংশ এলাকাই দখল করে নিতে পেরেছেন। রয়টার্সের দাবি, একটি অডিও মেসেজে একথা জানিয়েছেন, ভাগনার আর্মির প্রধান।

ওয়াশিংটনের সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ারও জানিয়েছে, বাখমুত এখন রাশিয়ার হাতে। গত সাতদিনে একটু একটু করে রাশিয়া এই কৌশলগত এলাকাটি দখলে নিয়েছে বলে তাদের দাবি। বস্তুত, রয়টার্সও একই কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, ভাগনার আর্মির প্রধানের ভয়েস মেসেজে সে কথাই বলেছেন।

জেলেনস্কির আমন্ত্রণ

এদিকে বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তিনি খোলা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিয়েভে গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিজের চোখে খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েকমাসে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার সখ্য বেড়েছে। রাশিয়াকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে চীন। অতি সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে শিয়ের বৈঠক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। জেলেনস্কির বক্তব্য, পুটিন শিয়ের কাছে যতটা সাহায্য চেয়েছিলেন, চীন তা দেয়নি। ফলে এমন হতেই পারে, শি কিয়েভের পরিস্থিতি দেখে ইউক্রেনকে সমর্থন করবে। বস্তুত, সম্প্রতি শি মস্কোয় গেছিলেন। সেখানে রাশিয়ার প্রশাসন তাকে যুদ্ধ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে।

জার্মানির ঘোষণা

এদিকে জার্মানি ঘোষণা করেছে, আগামী নয় বছরে সব মিলিয়ে ১২ বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে ইউক্রেনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য। ধীরে ধীরে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। জার্মানির প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত কয়েকদিন ধরে এনিয়ে বৈঠক করেছে। তারপরেই বাজেট কমিটিকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন ইউরোর নতুন সামরিক অস্ত্র দেওয়া হবে ইউক্রেনকে। আর চার বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে পুরনো অস্ত্র বদলের জন্য।

এসজি়/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)