1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান

১৪ মার্চ ২০১৩

চীনের তথাকথিত রাষ্ট্রীয় সংসদ বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শি চিনপিং’কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে৷ ৫৯ বছর বয়সী শি এই পদেও হু জিনতাও’এর উত্তরসুরি হলেন৷

https://p.dw.com/p/17xAb
ছবি: Reuters

গত নভেম্বরে শি চিনপিং পার্টি প্রধান পদে হু জিনতাও'এর স্থলাভিষিক্ত হন৷ এবার বাৎসরিক জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধির সামনে তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন৷ পেয়েছেনও ২,৯৬১টি ভোট, অর্থাৎ ৯৯.৭ শতাংশ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পড়েছে মাত্র একটি ভোট৷ তিনজন প্রতিনিধি ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন৷

শি চিনপিং'এর আগামী দশ বছর প্রেসিডেন্ট এবং পার্টি প্রধানের পদে থাকবার কথা৷ বেইজিং'এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপল'এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে সমবেত প্রতিনিধিদের করতালি ও অভিনন্দন গ্রহণ করলেন শি চিনপিং, প্রথা অনুযায়ী৷ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে৷

ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছেন ৬২ বছর বয়সী লি ইউওয়ানচাও, যিনি কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী সংগঠন বিভাগের প্রধান৷ লি পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ ভোট৷ অপরদিকে শি চিনপিং'কে রাষ্ট্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও অনুমোদন করা হয়েছে৷ পার্টি প্রধান হিসেবে হু জিনতাও'এর স্থান নেওয়া যাবৎ তিনি এমনিতেই পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের প্রধান৷

Xi Jinping Präsident Wahl China Peking
হু জিনতাও এর সঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংছবি: GOH CHAI HIN/AFP/Getty Images

শুক্রবার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরণে তাদের অনুমোদন দেবে: উপপ্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং'কে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হবে, অর্থাৎ তিনি সরকারিভাবে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে চলেছেন৷ তিনি ওয়েন জিয়াবাও'এর স্থলাভিষিক্ত হবেন৷ শনিবার কংগ্রেস নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অপরাপর নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগ অনুমোদন করবে৷

বৃহস্পতিবারেই চীনা সংসদ ঝাং দেজিয়াং'কে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ করে৷ অর্থাৎ ৬৬ বছর বয়সি ঝাং হলেন শি চিনপিং এবং লি কোচিয়াং-এর পরে দলীয় ক্ষমতার সিঁড়িতে তৃতীয় ব্যক্তি৷ তিনি গতবছরের মার্চ মাসে চংকিং এলাকার বিতর্কিত নেতা বো শিলাই'এর স্থান নেন৷

সংসদ সরকারি মন্ত্রণালয়গুলির মেদ কমানোর একটি পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছে৷ পরিকল্পনার লক্ষ্য হল, দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র কমানো৷ এছাড়া বাজারের অর্থনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সরকারি হস্তক্ষেপ কমানোরও প্রচেষ্টা করা হবে৷ রেল মন্ত্রণালয়টিকে তো ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে একেবারেই তুলে দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷

এসি / এসবি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য