1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শার্লি এব্দো কাণ্ড: দোষী সাব্যস্ত ১৪

১৭ ডিসেম্বর ২০২০

শার্লি এব্দোর দপ্তরে আক্রমণের ঘটনায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করল ফরাসি আদালত।

https://p.dw.com/p/3mq6F
শার্লি এব্দো
ছবি: dpa/AFP/picture alliance

শার্লি এব্দোর দপ্তরে আক্রমণ এবং পাশেই একটি সুপারমার্কেটে গুলি চালানোর ঘটনায় ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল প্যারিসের আদালত। এর মধ্যে তিনজন পলাতক। বাকি সকলেই এ দিন হাজির ছিলেন আদালতে। আদালত চত্বর ভরে ছিল সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষের ভিড়ে।

২০১৫ সালে দুইজন বন্দুকধারী আক্রমণ চালায় ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এব্দোর দপ্তরে। তারা জানিয়েছিল, ওই ম্যাগাজিনে মহানবীর (সা:) অপমানজনক কার্টুন ছাপা হয়েছিল। তার বদলা নিতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে। দপ্তরে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে দুই বন্দুকধারী। নিহত হন দপ্তরে উপস্থিত সাংবাদিক এবং কার্টুনিস্টরা। এই ঘটনা চলাকালীনই কাছের একটি ইহুদি বাজারে ঢুকে গুলি চালানোর চেষ্টা করে আরেক বন্দুকধারী। তার গুলিতে মৃত্যু হয় এক পুলিশ অফিসারের।

তিনজন বন্দুকধারীই শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। ঘটনাটি নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে যায়। তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে ফরাসি পুলিশ। অভিযোগ, প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ভাবে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। তেমনই ১৪ জনের বিচার পর্ব শেষ হলো বুধবার। এর মধ্যে তিন জন ফেরার। সকলেই সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়ে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ।

বাকি ১১ জনই এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিল। আদালতকে অভিযুক্তরা জানিয়েছে, এত বড় ঘটনা ঘটবে তারা বুঝতে পারেনি। তারা পেটি বা ছোট অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। সেই সূত্রেই বন্দুকধারীদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাদের। হামলাকারীদের বন্দুক এবং কার্তুজ সরবরাহ করেছিল এই ব্যক্তিরা। বন্দুকধারীদের ছোটবেলার বন্ধুও আছে অভিযুক্তের তালিকায়। আক্রমণের ব্লুপ্রিন্ট তৈরিতে সহায়তা করেছিল সে। কেউ গাড়ি দিয়ে, কেউ রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে বন্দুকধারীদের সাহায্য করেছিল।

এ দিন আদালত চত্বর ছিল ভিড়ে ঠাসা। গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল রায় শোনার জন্য। ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। সম্প্রতি শার্লি এব্দোর কার্টুন বিতর্ক নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। ওই কার্টুন স্কুলে দেখানোর অপরাধে খুন হতে হয়েছে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং ফরাসি প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে বিতর্ক হয়েছে। তারই মধ্যে এই ১৪ জনের বিচার নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)