শারীরিক ‘ত্রুটি’ নিয়েও যাঁরা বড় তারকা

যে নারীর শরীরের বাঁক আর কন্ঠ পুরুষদের হৃদয়ে কম্পন তোলে, তাঁর শারীরিক ক্রুটি? হ্যাঁ বলছি, সুপার স্টার জেনিফার লোপেজের কথা৷ ল্যাটিন অ্যামেরিকান এই গায়িকার উরুর দিকে ভালো করে তাকালে দেখবেন, বাড়তি মাংস, যা কিনা বেশিরভাগ নারীরই হয়ে থাকে৷ তবে ৪৯ বছর বয়সি এই জনপ্রিয় তারকাকে মোটেই ভাবায় না বিষয়টি৷

মুখমন্ডলের দাগ ও দাঁতে ফাঁক নিয়েও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়ক৷ এক বিশেষ রোগ তাঁর মুখমন্ডলে এই চিহ্ন রেখে গেছে, তবে তাঁর তারকা হওয়ায় তা কোনো বাঁধা হয়নি৷ জার্মান টপ মডেল হাইডি ক্লুমকে বিয়ে করেছিলেন তিনি৷পরে অবশ্য ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাঁদের৷

টপ মডেল উইনি চার বছর বয়সে ত্বকের অসুখে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার ফল তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সাদা ত্বক৷ এ কারণে একসময় তিনি আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন৷ ২৪ বছর বয়সি এই টপ মডেলের এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক চাহিদা৷ এখন তিনি অনেক তরুণীর প্রেরণাও বটে!

জার্মানির সর্বকালের সবচেয়ে সফল টেনিস খেলোয়াড় স্টেফি গ্রাফ৷ তাঁর মুখের তুলনায় নাকটি একটু বড় ও বেমানান৷ তবে ৪৯ বছর বয়সি টেনিস স্টার তাঁর বড় নাকের প্লাস্টিক সার্জারির বিপক্ষে৷

জার্মনির জনপ্রি টিভি উপস্থাপক কাই ফ্লাউমের একটি আঙুলের ডগা নেই৷ মাত্র দু’বছর বয়সে দরজায় চাপ লেগে আঙুলের সামনের অংশংটুকু ভেঙে যায়৷ এ নিয়ে কাই গর্ব করেই বলেন, , ‘‘এটা কোনো ত্রুটি নয়, বরং এটা আমার বিশেষত্ব৷’’

দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার এবং দুটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার পাওয়া ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক৷ ছোটবেলায় বাস্কেট বল খেলার সময় তাঁর আঙুলটি ভেঙে যায়, তবে কখনো অপারেশনের কথা ভাবেননি৷ এখন তো অভ্যস্তই হয়ে গেছেন ৬৪ বছর বয়সি জনপ্রিয় এই মার্কিন অভিনেতা৷

ফরাসি সঙ্গীত শিল্পী ভানেসা গীতিকার, অভিনেত্রী এবং ফ্যাশন মডেল৷ তাঁর সামনের দুই দাঁতের মাঝে বেশ একটু ফাঁক৷ তবে দাঁতের ফাঁক তার সাফল্যকে আটকাতে পারেনি৷ বরং একারণে জোড়ে শিষ দিতে পারেন বলে তিনি খুসি৷