শান্তি নেই ইয়েমেনবাসীর
যুদ্ধবিদ্ধস্ত, ক্ষুধাপীড়িত ইয়েমেনিদের খবর গণমাধ্যমে নতুন নয়৷ বিদ্যমান দুর্ভোগের সাথে তাঁদের কপালে নতুন যে মাত্রা যুক্ত হয়েছে তা হলো কলেরার প্রাদুর্ভাব৷ দেশটিতে মহামারি আকারে রূপ নিয়েছে কলেরা, বলছে জাতিসংঘ৷
মৃত্যুর কিনারায় ১০ লক্ষ লোক
২০১৫ সাল থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হামলা চালিয়ে যাওয়ার সময় থেকেই ইয়েমেনবাসীর নেই বেঁচে থাকার নিরাপত্তা৷ দু’মুঠো খাবারের জন্য রয়েছে নিত্য হাহাকার৷ এরই মধ্যে যুক্ত হলো পানিবাহিত রোগ কলেরা৷ ১০ লাখ ইয়েমেনবাসীর জন্য এ আরেক নতুন দুর্যোগ, বললেন স্থানীয় ডাক্তার মোহাম্মদ আবদুল-মুঘনি৷
বাড়ছে লাশ!
যুদ্ধ আক্রান্ত এ দেশটিতে এমনিতেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে লাশের সারি৷ নতুন করে যুক্ত হওয়া এ মহামারি আরো বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা৷ জাতিসংঘ বলছে গত দু’মাসে দেশটিতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ছিল অন্তত ২০০৷
আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন
জাতিসংঘ বলছে, গত দু’মাসে দেশটিতে কলেরায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে৷ দেশটির সানা অঞ্চলের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে কাজ করেন মোহাম্মদ আবদুল-মুঘনি৷ তিনি জানান, প্রতিদিন অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ জন কলেরা আক্রান্ত রোগী তাঁর হাসপাতালটিতে ভর্তি হন৷
মরার উপর খরার ঘা
আক্রান্তের তালকায় রয়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ৷ এদিকে রোগীদের অনেকেই কিডনি সমস্যাসহ নানারকম শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন৷ যে কারণে তাঁদের শরীরে পানিশূন্যতা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ইনজেকশনের সুই প্রবেশ করানোও কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররা৷
পানির জন্য হাহাকার
আরব সাগরের তীরে অবস্থিত এ উপদ্বীপটিতে চলছে তীব্র খাবার পানির সংকট৷ যে পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে তার পুরোটা খাওয়ার উপযোগী নয়৷ দুর্গন্ধযুক্ত এ পানিই মূলত ছড়াচ্ছে জীবানুবাহিত বিভিন্ন রোগ, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন
কলেরার এ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সরকার৷ বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক ছিটিয়ে রোগজীবাণু ধ্বংসের চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷