শান্তি চুক্তি হলেও ঘরে ফিরছেন না তাঁরা
দক্ষিণ সুদানের সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সম্প্রতি একটি শান্তি চুক্তি সই হয়েছে৷ তবুও ঘরে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দারা৷
নতুন দেশ
২০১১ সালে সুদান থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে দক্ষিণ সুদানের যাত্রা শুরু হয়৷ কিন্তু মাত্র দুই বছর পরই দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও তখনকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচারের মধ্যে বিবাদের পর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়৷
শান্তিচুক্তি
সম্প্রতি সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সই হয়েছে৷ গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷
তবে ভয় কাটেনি
দক্ষিণ সুদানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মালাকাল৷ গৃহযুদ্ধের কারণে সেখানকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে শহরের কাছে স্থাপিত জাতিসংঘের শিবিরে বাস করছেন৷ শান্তিচুক্তি হলেও তারা এখনো বাড়ি ফেরার সাহস পাচ্ছেন না৷
মৃত্যুর ভয়
জোসেফিন আদিমিস নামের এক নারী তাঁর পরিবারের আট সদস্যের সঙ্গে জাতিসংঘের ঐ শিবিরে থাকেন৷ তিনি বলছেন, চুক্তি হলেও তিনি এখনো ফিরতে চান না, কারণ, তাঁর আশংকা কেউ তাঁর বাড়ি দখল করে আছে৷ ফলে বাড়িতে গেলে তারা তাঁকে মেরে ফেলতে পারে৷
মালাকালে যুদ্ধ
গৃহযুদ্ধের সময় এলাকাটি একেকবার এক পক্ষের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ ফলে শহরটির প্রায় পুরোটা ধ্বংস হয়ে গেছে৷
বসবাসের অনুপযুক্ত
কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে শহরের অবকাঠামো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷ যেমন, স্কুলের এই শ্রেণিকক্ষটি৷
ব্যস্ততা নেই
মালাকাল একসময় ব্যস্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল৷ সেখান থেকে সুদানে মালপত্র রপ্তানি করা হতো৷ কিন্তু যুদ্ধ সেই ব্যস্ততা কেড়ে নিয়েছে৷ এখন জাতিসংঘের শিবিরের কাছে ব্যস্ত বাজার গড়ে উঠেছে৷ ফলে নীল নদের মাছ মালাকালে না গিয়ে জাতিসংঘের বাজারেই যাচ্ছে৷
উৎসাহ
দেশটির আপার নীল অঞ্চলের তথ্যমন্ত্রী ঘরছাড়া মানুষদের তাঁদের বাড়িতে ফিরে যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন৷ তিনি তাঁদের বলছেন, মালাকালে এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে৷ ফলে সেখানকার সবকিছু ঠিকঠাক চলছে বলে দাবি করেন তিনি৷