শরীর খারাপ লাগছে? সুস্থ হবার কিছু জার্মান উপায়
ঠান্ডা লেগেছে? জার্মানির রয়েছে কিছু টোটকা চিকিৎসা যা ঠান্ডা থেকে মুক্তিতে সহায়ক৷ তবে সনাতন এসব পদ্ধতি কাজে লাগবে কিনা তা আপনার বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে৷
পা ঠান্ডা রাখবেন না!
অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে ঠান্ডা পা, যে কারণে মোজা এবং ঘরে পরার চটির চাহিদা জার্মানিতে অনেক৷ তাই জার্মানরা ঘরের মধ্যে পোশাকের ব্যাপারে অন্যক্ষেত্রে তেমন সচেতন না হলেও পা দুটো মোজা দিয়ে ঢেকে রাখতে কিংবা ঘরের মধ্যে চটি পরতে ভালোবাসে৷
ঘাম ঝড়ান
জীবনের অনেক সমস্যা সমাধানের জার্মান উপায় সাওনা বা স্টিম বাথ৷ ঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে সাওনা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ যদিও ঠান্ডা লাগলে সাওনায় যেতে না করা হয়, তবে জার্মান সাওনা অর্গানাইজেশনের দাবি হচ্ছে, ঠান্ডা প্রতিরোধে এটা সহায়ক৷
গরম অনুভব করুন
সাধারণ পেটের ব্যথা কিংবা পেশীর বেদনা দূর করতে গরম পানির বোতল বেশ কার্যকর৷ তবে খেয়াল রাখবেন বোতলের মুখ যেন ভালোভাবে বন্ধ থাকে, আর গরমটা যেন সহনীয় পর্যায়ের হয়৷
কেউ কেউ এটাকে গরম পছন্দ করে
আয়ুর্বেদিক ও সনাতন চীনা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আদা৷ মূলত বমি বমি ভাব কিংবা গতি সংক্রান্ত অসুস্থতা দমনে আদা বিশেষ কার্যকর৷ বাংলাদেশের মতো জার্মানিতেও গরম আদা চায়ের কদর রয়েছে৷
বাধাকপির কদর
জার্মানরা ‘সাওয়ারক্রাউট,’ যা মূলত প্রক্রিয়াজাত করা বাধাকপি, খেতে পছন্দ করে৷ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে শক্তি যোগায়৷
আরোগ্য ভেষজ উদ্ভিদ
শুধু আদা নয়, আরো অনেক ভেষজ জার্মানরা খান বা পান করেন বিভিন্ন রকম রোগের প্রতিষেধক হিসেবে৷ এসবের মধ্যে রয়েছে তুলসি, ওরেগানো এবং মেনথলের মতো ভেষজ উদ্ভিদ৷