শরতের রং লেগেছে জার্মানিতে
বুনো রাজ-হংসী থেকে বিশেষ ধরনের পেস্ট্রি, আঙুর ফল এবং সৈকতে বাতাসের তীব্রতা– সবই যেন শরতের ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ চার ঋতুর দেশ জার্মানিতে ঋতু পরিবর্তনটা বেশ বোঝা যায়৷ দেখুন:
রঙের বিস্ফোরণ
যখন দিনগুলো ছোট হতে থাকে, গাছের পাতা সবুজ থেকে হলুদ এবং লাল রং ধারণ করে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকে, তখন বুঝতে হবে শরৎকাল এসেছে৷ জার্মানির উত্তর থেকে দক্ষিণ অবধি, ঐতিহ্যবাহী নানা উৎসব আর খাবারের স্বাদ পেতে এই সময় দেশটি ভ্রমণ করতে পারেন৷
ঘুড়ি ওড়ানোর ভালো সময়
ঘুড়ি ওড়ানোর আদর্শ সময় এই শরৎকাল৷ ঘুড়ির জার্মান শব্দ হচ্ছে ‘ড্রাখেন’, মানে ড্রাগন৷ ধারণা করা হয়, চীনে ঘুড়ির উৎপত্তি হয়েছিল৷ তবে জার্মানিতেও তা বেশ জনপ্রিয়৷
আলোর উৎসব
মোহনীয়, বিস্ময়কর, সৃজনশীল – শরৎকালে বিশ্বের নানা দেশের নামী আলো শিল্পীরা বার্লিনের পর্যটন আকর্ষণগুলো এভাবেই আকর্ষণীয় করে তোলেন৷
আঙুর চাষের মৌসুম
জার্মানির আঙুর খেতগুলোতে ওয়াইন উৎসব এবং আঙুর চাষের মৌসুম হচ্ছে শরৎকাল৷ বরফ শীতল ওয়াইনের জন্য মাইনাস সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শীতকালে আঙুর সংগ্রহ করা হয়৷ জার্মানি ওয়াইনের জন্যও বিখ্যাত৷
ফাঁকা সৈকত
জার্মানির সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ সিল্ট-এ শরৎকালেও পর্যটকদের দেখা মেলে৷ বিশেষ করে যারা একটু শীতল এবং বাতাসের তীব্রতা উপেক্ষা করে সমুদ্রতটে যেতে প্রস্তুত, তাদের জন্য এটা ভালো সময়৷
ঐতিহ্যবাহী নানা উৎসব
জার্মানিতে অক্টোবরফেস্টই একমাত্র বাৎসরিক লোকউৎসব নয়, তবে এটি সবচেয়ে পরিচিত৷ প্রতিবছর ষাটলাখের মতো মানুষ এই মেলা উপভোগ করেন৷ আর সেখানে বিয়ার পানের পর নানা কিছু হারান মানুষ৷ ফলে সংশ্লিষ্ট ‘লস্ট প্রোপার্টি’ কার্যালয়ে পরেরদিন লম্বা লাইন দেখা যায়৷
সুস্বাদু খাবার
ভেকমান বা স্টুটেনকার্ল হচ্ছে পুরুষ মানুষের আদলে তৈরি এক বিশেষ পেস্ট্রি৷ সেন্ট মার্টিন’স ডে, মানে ১১ নভেম্বর এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়৷ বাড়ির কাছের বেকারিতে যখন এই পেস্ট্রি দেখবেন, তখন বুঝতে হবে শরৎ এসে গেছে৷