1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী-বন্ধু জার্মান

আনে-সোফি ব্র্যান্ডলিন/জেডএইচ২ জুলাই ২০১৫

জার্মানিতে শরণার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ তাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে জার্মান সরকার৷ ফলে অনেক সময় শরণার্থীরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না৷

https://p.dw.com/p/1Frip
Jonas Kakoschke NEU
ছবি: DW/A.-S. Brändlin

এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছেন জার্মান নাগরিক ইয়োনাস কাকোষ্কে৷ তিনি তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের একটি ঘরে আফ্রিকার মালি থেকে আসা বাকারি নামের এক শরণার্থীকে থাকতে দিয়েছেন৷ তাঁরা দু'জন এখন ঐ ফ্ল্যাট শেয়ার করে একসঙ্গে থাকছেন৷ বাকারি যে ঘরে থাকেন সেটার ভাড়া জোগাড়ের জন্য কাকোশকে তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের দানের উপর নির্ভর করেন৷

বাকারির সঙ্গে বসবাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি অন্য শরণার্থীদেরও কীভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে ভেবেছেন৷ পরে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন তিনি৷ শরণার্থীদের যাঁরা ফ্ল্যাট শেয়ার করতে দিতে ইচ্ছুক তাঁরা ঐ ওয়েবসাইটে নাম লিপিবদ্ধ করেন৷ পরে কাকোষ্কে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, কিংবা ইচ্ছুক ব্যক্তি যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানকার সরকারি অফিসের লোকজন যোগাযোগ করে শরণার্থীদের সঙ্গে ঐ ইচ্ছুক ব্যক্তির কথা বলার সুযোগ করে দেন৷ এভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫২ জন শরণার্থীর বাসস্থানের ব্যবস্থা করা গেছে৷

কাকোষ্কে বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় শরণার্থীদের সাধারণত এমন কোনো জায়গায় রাখা হয় যেখানে থেকে শরণার্থীরা সমাজের মূল সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশতে পারেননা৷ তাছাড়া শরণার্থীদের থাকার জায়গাগুলো আজকাল কট্টর ডানপন্থিদের হামলার শিকার হচ্ছে৷ কাকোষ্কে মনে করেন, একজন মানুষ অবৈধ মানেই যে সে ভালো মানুষ নন, তা নয়৷ জার্মানি সহ ইউরোপে শরণার্থীরা ‘স্বাভাবিক জীবনযাপন' থেকে বঞ্চিত: অর্থ নেই, চাকরি নেই, যেন বিদেশ বিভুঁয়ে আজীবনের জন্য অতিথি৷

মালির শরণার্থী বাকারি জানান, কাকোষ্কের সঙ্গে ফ্ল্যাট শেয়ারের আগে তাঁর কোনো স্থায়ী থাকার জায়গা ছিল না৷ জার্মান একজন নাগরিক যে এভাবে তাঁকে থাকতে দেবেন, সেটা তিনি কখনো ভাবেননি৷ তবে এখন তিনি কাকোষ্কের সঙ্গে একসঙ্গে রান্না করেন, খাওয়া দাওয়া করেন, এমনকি কখনও কখনও একসঙ্গে ঘুরতেও বের হন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য