শরণার্থী শিবিরে জন্মানো এক নারী সাংবাদিকের কথা
২৪ বছর বয়সি রায়ান সুক্কর লেবাননের শাতিলা শরণার্থী ক্যাম্পে জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন৷ এখন সাংবাদিক হিসেবে তিনি শরণার্থীদের জীবনযাত্রা তুলে ধরেন৷
রায়ান সুক্কার, সাংবাদিক
আমি রায়ান সুক্কার, শাতিলার একজন সাংবাদিক৷ দুই বছর ধরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ক্যাম্পজি’তে কাজ করছি৷ অন্যান্য শরণার্থী ক্যাম্প থেকেও রিপোর্ট করি৷ শাতিলার শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৪০,০০০ মানুষের বাস৷ ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা আছেন এখানে৷ এছাড়া গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা সিরীয় শরণার্থীদের সংখ্যাও অনেক৷
ক্যাম্পজি’র সম্পাদকীয় বিভাগ
আমরা একসাথে আমাদের আইডিয়া এবং বিষয় খুঁজে বের করি৷ আমরা শরণার্থীদের জীবনযাত্রা, তাঁদের নানা সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করি৷ কারণ আমরা শাতিলায় বাস করি বলে অন্য শরণার্থীদের উদ্বেগ সম্পর্কে ভালো করেই জানি এবং তা বুঝতেও পারি৷ আর এ কারণেই আমাদের ‘নাগরিক সাংবাদিক’ বলা হয়৷
পুরো দলের সাথে সম্পাদকীয় মিটিং
আমরা নতুন কিছু আইডিয়ার কথা সাপ্তাহিক মিটিংয়ে জানাই, তারপর আমাদের সেই আইডিয়া বা প্রস্তাবগুলো নিয়ে টিমের সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
শুটিং-এর দিন
আজ শুটিং হবে! আমাদের গল্প অভিবাসন সম্পর্কে৷ অনেকেই ক্যাম্প ছেড়ে অন্য দেশে জীবন শুরু করতে যায়৷ তাই আমরা শুটিং করার জন্য আল-জলিল শরণার্থী ক্যাম্পে যাই৷ শুটিং-এর প্রযুক্তিগত দিকটি দেখে সামি৷ আর আমি সামগ্রিক দিকটি তুলে ধরি৷
অভিবাসন নিয়ে কথা
আমরা শরণার্থীদের সাথে কথা বলতে, তাঁদের জীবনযাত্রা নিয়ে মতামত জানতে ভীষণ আগ্রহী৷ যেমন ছবিতে শরণার্থী বাসেল-এর সঙ্গে আমাকে কথা বলতে দেখছেন৷ আমরা যখন শুটিং করেছিলাম তখন তিনি নিজে থেকে এসে আমাদের সঙ্গে তাঁর শরণার্থী জীবন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি৷ ক্যাম্পে বসবাসকারী অনেকের জীবনেই উত্তেজনাপূর্ণ গল্প রয়েছে৷
শুটিং-এর চ্যালেঞ্জ
একটি শরণার্থী ক্যাম্পে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ নয়, যাদের ভিন্ন ভিন্ন মত বা অন্যরকম চিন্তাভাবনা রয়েছে৷ তাছাড়া ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘোরাফেরা করা আমাদের পক্ষে সবসময় সম্ভবও নয়৷
অফিসে ফেরার পথে
সারা দিন শুটিং আর কাজ শেষে আমরা ক্যাম্পজি অফিসে ফিরে যাই৷ আল-জলিল ক্যাম্পে এটা আমাদের প্রথম শুটিং ছিল৷ আগামীতে আরো শুটিং করতে হবে বলে মনে হচ্ছে৷ আমরা ইতোমধ্যে অনেক গল্প শুনেছি এবং কাছ থেকে দেখেছি৷ সেগুলো নিয়েই আমরা আগামীতে তথ্যপূর্ণ রিপোর্ট করতে চাই৷