1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী গ্রহণ নাটকীয়ভাবে কমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আসন্ন অর্থবছরে শরণার্থী গ্রহণের সর্বোচ্চসীমা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে ত্রিশ হাজার নির্ধারণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলো মার্কিন এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷

https://p.dw.com/p/355y7
Geflüchtete Rohingya in Bangladesch
ছবি: Reuters/Z. Bensemra

২০১৯ অর্থবছরে মাত্র ত্রিশ হাজার শরণার্থীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ দেশটি ১৯৮০ সালে শরণার্থী গ্রহণের পরিকল্পনা শুরু করার পর থেকে এটিই কোনো অর্থবছরের সর্বনিম্ন উদ্বাস্তু গ্রহণের সংখ্যা হতে চলেছে৷ পহেলা অক্টোবর থেকে নতুন এই অর্থবছর শুরু হবে৷

শরণার্থী গ্রহণের নতুন সীমা নির্ধারণ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পমপেও বলেন, ‘‘বর্তমান প্রশাসনের হালনাগাদ শরণার্থী নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখবে এবং গোটা বিশ্বে সহায়তা দরকার এমন মানুষদের সহায়তা করায় আমাদের সক্ষমতা বাড়বে৷''

‘‘আমরা গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে উদার জাতি এবং ভবিষ্যতেও তেমনই থাকবো,'' বলেন তিনি৷

হালনাগাদ শরণার্থী নীতিতে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি তৎপরতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষার দিকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান পমপেও৷

প্রসঙ্গত, গতবছর শরণার্থী গ্রহণের সংখ্যা কমিয়ে ৪৫,০০০ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই অর্থবছর শেষ হতে দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে মাত্র ২১,০০০ শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছেন৷ অথচ, ওবামা প্রশাসনের শেষ বছরে ৮৫,০০০ শরণার্থী গ্রহণ করেছিল দেশটি৷

পমপেও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মূলত মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার মানুষদের করা৷ সেগুলো সামলাতে মার্কিন আমলাতন্ত্র চাপে রয়েছে বলেও জানান তিনি৷ বর্তমানে ২৮০,০০০ আশ্রয়ের আবেদন যাচাই-বাছাই করছে দেশটি৷ এছাড়া আট লাখ আবেদন ফয়সালার অপেক্ষায় রয়েছে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে শরণার্থী গ্রহণের সংখ্যা কমাচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক' আখ্যা দিয়েছে৷ একসময় জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা সামান্থা পাওয়ার ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহ্যগতভাবে শরণার্থী সহায়তা কর্মসূচিতে অর্থায়ন এবং তাঁদের গ্রহণের ব্যাপারে নেতৃস্থানীয় ভুমিকা পালন করেছে৷'' বর্তমান শরণার্থী নীতির সঙ্গে মার্কিন ঐতিহ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করেন তিনি৷ নিজের বক্তব্যের সপক্ষে টুইটারে একটি পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছেন তিনি৷

এআই/এসিবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)