শত্রুঘ্ন, বাবুলকে প্রার্থী করলো তৃণমূল
১৪ মার্চ ২০২২শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করা হয়েছে বাবুলের ছেড়ে দেয়া আসন আসানসোল থেকে। আর বাবুল বিধানসভা উপনির্বাচনে লড়বেন বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে।
বালিগঞ্জকে খুবই নিরাপদ আসন এবং নিজেদের গড় বলে মনে করে তৃণমূল। কিন্তু আসানসোলে গত দুইবার বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয় জিতেছিলেন। ফলে বিজেপি-র একটা প্রভাব আসানসোলে আছে। তবে সদ্যসমাপ্ত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল আসানসোলে জিতেছে।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তে দলের মধ্যে গোষ্ঠী-লড়াই তীব্র হয়েছে। প্রচুর নেতা দল ছেড়েছেন। দলের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠী হয়ে গেছে এবং তারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে বলে অভিযোগ। পুরসভা নির্বাচনেও বিজেপি শোচনীয় ফল করেছে। বামেরা একটি পুরসভা জিতেছে। বিজেপি একটিতেও জিততে পারেনি।
আগামী ১২ এপ্রিল উপনির্বাচন হবে। ফলপ্রকাশ ১৬ তারিখ।
কেন শত্রুঘ্ন ও বাবুল
বলিউডের সঙ্গে যুক্ত এই দুই নেতাই একসময় বিজেপি-তে ছিলেন। বাজপেয়ীর আমলে মন্ত্রী ছিলেন শত্রুঘ্ন, মোদীর আমলে বাবুল। শত্রুঘ্ন গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। বিহারে লড়েছিলেন এবং হেরে যান। বাবুল কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব খুইয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। শত্রুঘ্নও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে সামিল হন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দুই নেতাকেই মমতা প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বাবুলকে বিধানসভায় এবং শত্রুঘ্নকে সংসদে।
শত্রুঘ্নকে আসানসোলে প্রার্থী করার পিছনে হিন্দিভাষী ভোট পাওয়ার অঙ্ক রয়েছে বলে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন। তৃণমূলের হিন্দি সেলের নেতা হরেরাম সিং আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ''আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে হিন্দিভাষী ভোটদাতার সংখ্যা ৪৫ শতাংশের মতো। শত্রঘ্নের হিন্দিভাষীদের পাশাপাশি বাংলাভাষীদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা রয়েছে।'' অর্থাৎ, আসানসোল কেন্দ্রের বাস্তবতার কথা মাথায় রেখেই শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করা হয়েছে।
আর রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেছেন, ''আমরা একজন খুব ভালো প্রার্থী পেয়েছি। শত্রুঘ্ন প্রতিবাদী চরিত্র।''
বিজেপি আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালবীয় অবশ্য টুইট করে বলেছেন, তৃণমূল বিহরাগতকে প্রার্থী করেছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই)