1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শতকরা ১০ ভাগ ছাত্র সন্ত্রাসবাদের সমর্থক!

হারুন উর রশীদ স্বপন
২১ নভেম্বর ২০১৬

এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ১০ ভাগ ছাত্র জঙ্গিবাদ সমর্থন করে৷ তবে জরিপে অংশ নেয়া শতকরা ১০ ভাগ শিক্ষার্থী সরাসরি নিজেদের সমর্থনের কথা জানায়নি, তারা মনে করে অন্তত ১০ ভাগ ছাত্র জঙ্গিবাদ সমর্থন করে৷ তাই জরিপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/2T18l
Bangladesch Studentenprotest
ছবি: Harun Rashid Swapan

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে এই জরিপ চালানো হয় ঢাকার ১০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে৷ তাদের ৬৬৩ জন পুরুষ এবং ৩৩৭ জন নারী৷ সবাইকে মোট ২০টি প্রশ্ন করা হয়৷ ২৭ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্পটে এই জরিপ চালানো হয়৷

জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয় রবিবার৷ জরিপ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শতকরা ১০ ভাগ ছাত্র সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে বলে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন৷ তবে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা কেউ নিজে সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করেন কিনা তা জানা যায়নি৷ তুরিন আফরোজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা নিজেরা কী করেন সে ধরণের কোনো প্রশ্ন ছিলনা৷ তারা কী মনে করেন প্রশ্ন ছিল সে ধরণের৷ ফলে জরিপে অংশ নেয়া ছাত্রদের নিজেদের অবস্থান এই জরিপে প্রতিফলিত হয়নি৷''

‘সব শ্রেণি থেকেই তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে’

জরিপে অংশ নেয়াদের মতামত অনুযায়ী, যে ১০ ভাগ ছাত্র সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে তাদের মধ্যে ৫১.৭ ভাগ সচ্ছল পরিবারের সন্তান৷ ওই ১০ ভাগের ৫৪.৭ ভাগের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে৷

তাদের মধ্যে ৮২.২ ভাগ মনে করেন, বাংলাদেশে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার মাত্রা বহুগুণ বেড়েছে৷ আর তাদের মতে, এর প্রধান কারণ পরিবারের উদাসীনতা৷ তারপরে রয়েছে রাজনৈতিক উস্কানি৷

এছাড়া বেকারত্ব, হতাশা, শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি, ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজলভ্যতাকে দায়ী করেছেন তারা৷

জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতার দিক দিয়ে এখন ধনী পরিবারের সন্তানরাই শীর্ষে৷ জরিপে অংশ নেয়া শতকরা ৩৭.৬ ভাগ মনে করেন, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে৷ তারা মনে করেন, আর্থিক নয়, প্রধানত ‘আদর্শিক' কারণেই কিছু তরুণ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ছে৷

‘জরিপের পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক হয়নি’

তুরিন আফরোজ বলেন, ‘‘এটা এখন স্পষ্ট যে সব শ্রেণি থেকেই তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দু’টি কাজ করা প্রয়োজন৷ যারা এরইমধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে তাদের সেখান থেকে বের করে আনা এবং নতুন যাতে কেউ জড়াতে না পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়৷''

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, ‘‘পরিবারের উচিত সন্তানদের ওপর নজর রাখা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে৷ আর শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন৷ প্রয়োজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও আধুনিক সরঞ্জাম৷’’

বিচার ব্যবস্থার প্রতিও আস্থাশীল নন৷ এছাড়া জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কৌশল নিয়েও অসন্তুষ্ট তারা৷

তবে এই জরিপের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘এটা সত্য যে বাংলাদেশের তরুণদের একাংশ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে৷ কিন্তু জরিপকারীরা যেভাবে জরিপ করেছে তাতে সঠিক তথ্য উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয় না৷ তাদের ম্যাথোডোলজি এবং স্যাম্পলিং বৈজ্ঞানিক হয়নি বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে৷’’

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য