1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ল্যাবরেটরিতে হীরা তৈরি হচ্ছে

১০ মে ২০২১

জানেন কি, আঠারো শতকের শুরুতে সোনার চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম বেশি দামি ছিল? সে কারণে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের শীর্ষভাগ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি৷ তবে অ্যালুমিনিয়াম কিন্তু বিরল ছিল না, সেই সময় এটি বানানো কঠিন ছিল বলে দামি ছিল৷

https://p.dw.com/p/3tBAj
Schweiz | Lila-Rosa Diamant mit 14,83 Karat
ছবি: Denis Balibouse/REUTERS

এখন ল্যাবরেটরিতে হীরা তৈরি সম্ভব হচ্ছে বলে কয়েক দশকের মধ্যে এর দামও নাগালের মধ্যে চলে আসতে পারে৷

ভূপৃষ্ঠ থেকে দেড়শ কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে হীরা পাওয়া যায়, যেখানে তাপমাত্রা ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে৷

হীরা খাতের বিশ্লেষক পাউল জিমনিসকি বলছেন, বিজ্ঞানীরা ল্যাবে হীরা তৈরি করতে পারেন৷ গত শতকের ৫০-৬০ এর দশক থেকে হীরা তৈরির প্রযুক্তি বিদ্যমান৷ তবে অনেকদিন ধরে শুধু শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য ছোট দানার মতো হীরা তৈরি করা যেতো৷ ‘‘চার-পাঁচ বছর আগে হীরা তৈরির প্রযুক্তিতে উন্নতি আসে৷ ফলে এখন জেম-কোয়ালিটির হীরা তৈরি সম্ভব হচ্ছে৷ এর মান এত ভালো যে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা যায়,'' জানান তিনি৷

ল্যাবরেটরিতে হীরা তৈরি

এদিকে, হীরা ব্যবসায়ী এএলটিআর ইনকর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট আমিশ শাহ বলছেন, ল্যাবে তৈরি হীরা খনির হীরার মতোই হয়ে থাকে৷

এবং এই হীরার গুন এত ভালো হচ্ছে, আর এত দ্রুত তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে হয়ত আঙুলের চেয়ে হাতেই হীরা বেশি থাকবে৷

আমিশ শাহ আরো বলছেন, হীরা কখনোই মূল্যবান ছিল না৷ হীরার বিরলতার বিষয়টি একটা মিথ৷

বর্তমানে হীরাকে আর বিরল পদার্থ মনে করা হয় না৷ তবে হীরার যে বিশেষ গুণ আছে, সেটা বিরল৷

হীরা শুধু কার্বন দিয়ে তৈরি, তবে এর পরমাণুগুলো একটি ক্রিস্টাল স্ট্রাকচারে শক্তভাবে লেগে থাকে৷

সেকারণে এটি পৃথিবীর অন্যতম শক্ত ও বিদ্যুৎ পরিবাহী উপাদান এবং প্রকৌশলীদের কাছে বিস্ময়কর এক উপাদান৷

হীরা স্ক্রিনকে আরও প্রতিরোধী করতে পারে, সোলার প্যানেলকে আরও কার্যকর, লেজারকে আরও শক্তিশালী, হার্ড ড্রাইভকে আরও ছোট করতে পারে-- এবং আরো ভালো মানের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তৈরি করতে পারে৷

ভালো সেমিকন্ডাক্টরকে অবশ্যই উচ্চ ভোল্টেজ ও তাপমাত্রা প্রতিরোধী হতে হবে৷ বর্তমানে সেগুলোর বেশিরভাগই সিলিকন দিয়ে তৈরি৷

হীরার তাপ পরিবাহী ক্ষমতা ১৪ গুণ বেশি... আর বিদ্যুৎ প্রতিরোধী ক্ষমতা বেশি ৩০ গুণ৷

পাউল জিমনিসকি মনে করেন, ‘‘আমরা হয়ত এখনও কয়েক দশক দূরে আছি, কিন্তু আমার মনে হয় একসময় আমরা প্রতিদিন ব্যবহারের অনেক জিনিসের মধ্যেই হীরা দেখতে পাব৷''

আমরা হয়ত কখনো হীরার মেন্যু পাবো না, উচ্চ-প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হতেও হয়ত আরো সময় লাগবে৷

ক্রিস্টিয়ান কাউরিয়া/জেডএইচ