লেসবসের শরণার্থীদের সঙ্গে কয়েকদিন
ডিডাব্লিউ-র প্রতিনিধি জেমিমা হার্ভে গ্রিসের লেসবসে গিয়েছিলেন শরণার্থীদের কাছ থেকে দেখতে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে৷ দেখুন তাঁর চোখে শরণার্থীদের জীবন৷
চুক্তির পর
ইইউ-তুরস্ক চুক্তির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লেসবসে৷ গত ২০শে মার্চ মোরিয়া রেজিস্ট্রেশন সেন্টার থেকে সব বেসরকারি সংস্থাকে চলে যেতে হয়৷ যেখানে এতদিন শরণার্থীরা যেখানে নাম ঠিকানা লেখাতেন, সেখানে আগামীতে অবৈধভাবে থেকে যাওয়া লোকদের আটক রাখা হতে পারে৷
স্বাগতম
সিরীয় দুই শরণার্থী সেদিন সবে লেসবসের এই ছোট্ট গ্রামটিতে এসেছেন৷ সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রামটিতে প্রবেশ করতেই তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন দু’জন স্বেচ্ছাসেবী৷ একজনের হাতের ট্যাটুতে আরবি ও ফারসি ভাষায় লেখা, ‘স্বাগতম’৷
মেয়েটি কোথায়?
কোনো এক মেয়ের কাপড় পড়ে আছে৷ কাপড়গুলো কার? কোনো শরণার্থী কিশোরীর? সে এখন কোথায়?
মেয়ে আর বাবা
সিরীয় শরণার্থী নাদাল আর তাঁর মেয়েকে দেখা যাচ্ছে ওপরের ছবিতে৷ নাদালের দুই ছেলে এখন জার্মানিতে, এক ছেলে সুইডেনে আর এক ছেলে এখনো সিরিয়ায়৷ আদরের নাতিও সিরিয়ায়৷ সিরিয়ায় আটকে পড়া স্বজনদের কথা ভাবলে এখনো চোখে জল আসে নাদালের৷
কাপড় শুকানো
লাইটহাউস শরণার্থী শিবিরে নারী আর শিশুদের কাপড় শুকানোয় ব্যস্ত লিসা ট্রান৷ কাজটি আন্তরিকতার সঙ্গেই করেন জার্মান এই নারী৷
চা গরম
লাইটহাউস শিবিরে শরণার্থীদের চায়ে চুমুক দেয়ার জন্য শুধু এই জায়গাটায় হাজির হলেই হয়৷ বড় একটা পাত্রে লং আর দারুচিনি দিয়ে চা তৈরি করে তাঁদের জন্য সবসময় অপেক্ষায় আছেন জেন শ-সুইট৷
শিশুর আঁকা ছবি
মোরিয়া রেজিস্ট্রেশন সেন্টার বন্ধ করার আগে এখানে শরণার্থী শিশুরা ছবি আঁকতো৷ তখনই এই ছবিটি এঁকেছিল আফগান দুই শিশু৷
লাইফ জ্যাকেটের পাহাড়
সাগর পাড়ি দিয়ে কত মানুষ আসে তা এই ছবিটি দেখলেও অনুমান করা যায়৷ ছবির এই রঙিন কাপড়গুলো আসলে লাইফ জ্যাকেট৷