1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজলুক্সেমবুর্গ

লুক্সেমবুর্গে অভিবাসীদের অবদান নিয়ে চলচ্চিত্র

১৮ মে ২০২২

ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হলেও লুক্সেমবুর্গেও বৈচিত্র্যের অভাব নেই৷ সেই সাংস্কৃতিক চালচিত্রে অভিবাসীদের অবদান কম নয়৷ ইটালির অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে সেখানে গিয়ে জায়গাটিকে আপন করে নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/4BTHh
ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হলেও লুক্সেমবুর্গেও বৈচিত্র্যের অভাব নেই৷ সেই সাংস্কৃতিক চালচিত্রে অভিবাসীদের অবদান কম নয়৷ ইটালির অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে সেখানে গিয়ে জায়গাটিকে আপন করে নিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/imagebroker/W. Bahnmüller

ব্লাস্ট ফারনেস থেকে সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র – বহিরাগতদের অবদান ছাড়া লুক্সেমবুর্গের এশ-সুয়র-আলজেৎ শহরটি ইউরোপিয়ান কালচারাল ক্যাপিটল হতে পারতো না৷ আসলে বহিরাগতদের ছাড়া লুক্সেমবুর্গের দক্ষিণে ইস্পাত শিল্প অঞ্চল ভাবাই যায় না৷ সেখানকার সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মূলমন্ত্র হলো ‘রিমিক্স কালচার'৷

ফাবিও বোটানি ও মারিয়া গ্রাৎসিয়া গালাটি নিজেদের ইটালীয় শিকড় নিয়ে চর্চা করছেন৷ প্রায় ২০ বছর আগে তাঁদের মতো ইটালির অনেক মানুষ লুক্সেমবুর্গে চলে এসেছিলেন৷ ফাবিও বলেন, ‘‘আমি বহিরাগত হওয়া সত্ত্বেও তোমরা আমাকে স্বাগত জানিয়েছিলে৷ খুব সুন্দর এই বাক্যটি আমার নিজের মনে হয়৷ আমিও অতীতের অভিবাসীদের মতো পরিস্থিতিতে রয়েছি, শুধু ১০০ বছর পরে এসেছি৷ এখন পরিস্থিতি পুরোপরি এক না হলেও আমি সেটা উপলব্ধি করতে পারি৷ লুক্সেমবুর্গে আসার পর আমাদের ক্ষুধা সহ্য করতে হয় নি৷ তবে আমরাও আরও ভালো জীবনযাত্রার স্বপ্ন দেখতাম৷''

ইটালির মানুষ এখনো পর্যন্ত লুক্সেমবুর্গের অন্যতম বড় অভিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে পড়ে৷ ফাবিও বোটানি তাঁর চলচ্চিত্রে তাদেরই কাহিনি শোনাচ্ছেন৷ ‘এশ ২০২২'-র আওতায় সেই চলচ্চিত্র পরিবেশন করা হচ্ছে৷ সেটি পুরোপুরি ইটালির পারিবারিক প্রোডাকশন৷

অভিবাসীদের লুক্সেমবুর্গ গড়ে তোলার কাহিনি

চলচ্চিত্রের প্রযোজক মা এবং ছেলে পরিচালক৷ ড্যুডেলিঙেন এলাকার ইটালীয় পাড়ায় তাঁরা খোঁজ চালিয়েছেন৷ ‘ছোট ইটালি' বলে পরিচিত সেই পাড়ায় আগে পুরোপুরি ইটালীয় খনি শ্রমিকদের আধিপত্য ছিল৷ আজ ১২০টিরও বেশি দেশের মানুষ সেখানে বাস করেন৷ প্রত্যেকেরই নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ মারিয়া গ্রাৎসিয়া গালাটি মনে করেন, ‘‘ইটালি সূর্যের আলোর জন্য বিখ্যাত৷ অভিবাসীরা আসার পর কোথাও সূর্যের আলো পেলেন না৷ তখন তাদের রংয়ের প্রয়োজন পড়লো৷ তাই তারা নিজেদের ঘরবাড়ি রং করলেন৷''

আগে যেখানে লোহার আকর রাখা হতো, সেই গুদাম আজ মিডিয়া শিল্পের প্রদর্শনীর জায়গায় রূপান্তরিত হচ্ছে৷ ‘এশ ২০২২' প্রকল্পের ম্যানেজার ফ্রান্সের ভ্যাঁসঁ ক্রাপোঁ একাধিক প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয় করেন৷ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য থেকে নতুন কিছু উঠে এলেও পুরানো চরিত্রও যে দৃশ্যমান থাকছে, সেটা তুলে ধরাই তাঁর চ্যালেঞ্জ৷ ভ্যাঁসঁ বলেন, ‘‘এটা মিউজিয়াম নয়, গ্যালারিও নয়৷ আমাদের সাদা দেওয়াল নেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের চমকপ্রদ ব্যবস্থা নেই৷ ঠিকমতো ইনসুলেশনেরও কাঠামো নেই৷ কিন্তু এই স্পেসের সঙ্গে আশেপাশের এলাকা যেভাবে মিশে রয়েছে, সেটা আমাদের ভালো লাগে৷ মানুষ যাতে এই স্পেসের অতীত বুঝতে পারেন, সেটাও আমরা চাই৷ তাই দুইয়ের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে হয়েছে৷''

শিল্প স্থাপনার ধ্বংসাবশেষকে শিল্পের পর্দা হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগ লুক্সেমবুর্গের দক্ষিণে এই প্রথম নয়৷ গ্রাফিটি শিল্পী আল্যাঁ ভেল্টার এক ইস্পাত কারখানার কুলিং টাওয়ারের উপর মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তুলছেন৷ সেই সব মোটিফ এমনকি পাবলিক বাসের গায়ে বিজ্ঞাপন হিসেবেও শোভা পাচ্ছে৷ লুক্সেমবুর্গের শিল্পী আল্যাঁ ভেল্টার বলেন, ‘‘দক্ষিণের মানুষ স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত৷ ‘পেটের কথা মুখে আনা' সেখানে প্রচলিত এক প্রবাদ৷ অর্থাৎ মানুষ রাখঢাক না করে যা মনে আসে তাই বলে দেয়৷ সেটা আমার খুব ভালো লাগে৷''

সেই অঞ্চলে প্রায় দুই লাখ অভিবাসী বাস করেন৷ এটাই তাদের নিজস্ব দেশ হয়ে উঠেছে৷ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে ফাবিও বোটানি বলেন, ‘‘এই জায়গা আমার মধ্যে বিশেষ এক অনুভূতি জাগিয়ে তোলে৷ অতীতের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে আমাদের শিকড় ও সূচনা স্পষ্ট হয়ে যায়৷''

‘এশ ২০২২' উৎসবের মাধ্যমে সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এক অঞ্চল ইউরোপীয় বৈচিত্র্য উদযাপন করছে৷

হেনড্রিক ভেলিং/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান