1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিভারের রোগীদের জীবন সহজ করার গবেষণা

২২ জানুয়ারি ২০১৯

ইউরোপীয় এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় গবেষকরা এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন, যা দিয়ে লিভারের রোগীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, কখন তাঁদের হাসপাতালে যেতে হবে৷

https://p.dw.com/p/3BwEv
Symbolbild - menschliche Leber
ছবি: Fotolia/ag visuel

নিয়মিত হাসপাতালে যাওয়া থেকে রোগীদের মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ডের নয়শাটেলে এই গবেষণা চলছে৷ বিজ্ঞানীরা এমন এক পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছেন, যা দিয়ে রোগীরা তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত লিভার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন৷

নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেমস ওর বলছেন, ‘‘আমরা রোগীদের চিকিৎসাসেবার মান উন্নত করার চেষ্টা করছি যেন মনিটরিং চলাকালীন তাঁদের শরীর খারাপ হওয়ার সংখ্যাটা কমে৷ আমরা এতে সফল হলে রোগীদের জীবনযাপনের মান কিছুটা উন্নত হবে, কারণ, তাঁদের হাসপাতালে কম যেতে হবে৷ রোগীদের কথা বিবেচনা করলে এটি অন্যতম এক সুবিধা৷''

আরেক গবেষক স্টেফান ডাসেন একটি যন্ত্র দেখিয়ে বললেন, ‘‘এই যন্ত্র দিয়ে ‘ক্লট' বা পিণ্ড গঠন করতে রক্তের কত সময় লাগে, তা জানা যায়৷ এছাড়া রক্তে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্রিয়েটিনিন, অ্যালবুমিন, বিলিরুবিন ইত্যাদির মাত্রা কত, তা-ও পরিমাপ করা যায়৷ এসবের মাত্রা খুব বেশি বা খুব কম হলে ধরে নিতে হবে, লিভারে সমস্যা হয়েছে৷'' 

এই যন্ত্র দিয়ে রোগীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হৃদস্পন্দনের মাত্রা, ত্বকের তাপমাত্রা বারক্তচাপ ইত্যাদিও মাপতে পারবেন৷ নিয়মিতভাবে রক্তের চাপ পর্যবেক্ষণ করা একটি চ্যালেঞ্জের কাজ৷

আরো কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার পর শিগগিরই যন্ত্রটি বাজারে আনা সম্ভব হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন৷

প্রকল্পের সমম্বয়ক ক্যালাম ম্যাকনিল বলছেন, ‘‘শরীরের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখার মতো শরীরে পরা এই যন্ত্র খুব শিগগিরই বাজারে আসার মতো পর্যায়ে রয়েছে৷ আর রক্তের বায়োকেমিস্ট্রি মাপার যন্ত্র আসতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে৷ স্মরণশক্তি, নতুন কিছু শেখা, সিদ্ধান্ত নেয়া – এ সব সক্ষমতা কী অবস্থায় আছে, তা মাপার যন্ত্র এক বছরের মধ্যেই চলে আসতে পারে৷''

জেডএইচ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান