1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় মানবিক সংকট চলছেই

১০ জুলাই ২০১৯

একদিকে বিমান হামলায় মানুষ মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে হামলায় সতীর্থদের মৃত্যুতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আটক অভিবাসীরা- লিবিয়ায় মানবিক সংকট দ্রুত মেটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/3LpsU
Libyen Luftangriff Tajoura Detention Center bei Tripolis
ছবি: Reuters/I. Zitouny

মঙ্গলবার রাজধানী ত্রিপোলির উপকণ্ঠে তাজৌরা অভিবাসী আটক কেন্দ্রে অনশন করেছেন ৩৬০ জন অভিবাসন-প্রত্যাশী৷ হামলা আর সংঘাতের মধ্যে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সুরক্ষার দাবিতে এ অনশন চলছে তাদের৷ গত সপ্তাহে ওই কেন্দ্রে বিমান হামলায় ৫০ জন নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়েছিলেন৷

এপ্রিলের থেকে লিবিয়ায় ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ঐক্যমতের সরকার'-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি(এলএনএ)৷ ওই যুদ্ধে এ পর্যন্ত এক হাজার মানুষ নিহত এবং পাঁচ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)৷

অভিবাসন কেন্দ্রে দুটি বিমান হামলার জন্য খলিফা হাফতারের বাহিনীকে দায়ী করে আসছে ঐক্যমতের সরকার৷ যদিও তারা সেটি অস্বীকার করে আসছে৷

অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ‘ভয়ঙ্কর আক্রমণের' কঠোর নিন্দা জানিয়ে লিবিয়া সংকটের রাজনৈতিক সমাধান বের করে আনার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

মঙ্গলবার বার্লিনে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনায় দিয়ে লিবিয়ায় অস্ত্র রপ্তানী বন্ধে এবং ত্রিপোলিতে ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির' জন্য সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷ লিবিয়া যাতে আরেকটি সিরিয়া না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করেন চ্যান্সেলর৷

ম্যার্কেল বলেন, ‘‘বিদেশি শক্তিগুলো থেকে লিবিয়ায় প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র গিয়েছে৷ যুদ্ধ পরিস্থিতি যাতে আর না বাড়ে, সেজন্য অস্ত্র রপ্তানীতে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এখনই৷''

তাজৌরা আটক কেন্দ্রের মুখপাত্র মাহমুদ তাবির ডিপিএকে বলেন, আরো হামলার ভয়ে রাতে ঘরের মধ্যে ঢুকতে চাইছেন না অভিবাসীরা৷ কারণ আগের হামলায় সেখানকার অনেকে ভবন ধসে নিহত হয়েছিলেন৷ ‘‘জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল এসে অনশন ভাঙাতে চাইলেও অভিবাসীরা রাজি হননি,'' বলেছেন তিনি৷

তাবীর জানান, অন্য কোনো কেন্দ্রে নিয়ে গেলে লিবিয়া থেকে দেশে পাঠানোতে বিলম্ব হবে, এমন আশঙ্কায় তাজৌরা অভিবাসী আটক কেন্দ্রও তারা ছাড়তে চাইছেন না৷

এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম রুট লিবিয়া৷ এর মধ্যে দেশটির কোস্টগার্ডের হাতে আটককৃতদের বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে রাখা হয়৷

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ার আটক কেন্দ্রগুলোতো এই পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ২০০ জন অভিবাসন-প্রত্যাশী আটক রয়েছেন৷

যুদ্ধের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অনেক মানুষ৷ গত তিন মাসে লিবিয়ায় আহতদের এক হাজার ৭০০ জনের অস্ত্রোপচার করার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)৷

এমবি/ (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য