1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

১ মার্চ ২০১১

লিবিয়ায় সহিংসতার প্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ বিভিন্ন খাতে সেদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ৷ তবে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নন গাদ্দাফি৷

https://p.dw.com/p/10Qzh
লিবিয়ার বেনগাজিতে সরকারবিরোধীদের সশস্ত্র অবস্থানছবি: dapd

লিবিয়ার উপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা

ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়াকে অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হয়েছে৷ একইসঙ্গে সেদেশের বেশ কয়েকজন গাদ্দাফিপন্থী নেতার উপর ইউরোপে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে ইইউ৷ এই প্রসঙ্গে হাঙ্গেরির উন্নয়নমন্ত্রী টমাস ফেলেগি জানিয়েছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত লিবিয়ার ২৬ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে৷ এরা সেদেশের সাধারণ মানুষের উপর সহিংস দমনপীড়নের সঙ্গে জড়িত৷ নিষেধাজ্ঞার আওতায় গাদ্দাফি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফেলেগি৷

এছাড়া, জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে মিলিত হন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ বৈঠকে লিবিয়ার উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে সমন্বিত উদ্যোগের উপর জোর আরোপ করা হয়৷

Libyen Tripolis Pro Gaddafi Anhänger Flash-Galerie
ত্রিপোলিতে গাদ্দাফিপন্থীদের অবস্থানছবি: AP

বর্তমান পরিস্থিতি

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি এখনো দখলে রেখেছেন মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি৷ তবে সেদেশের পূর্বাঞ্চল কার্যত সরকার বিরোধীদের দখলে চলে গেছে৷ ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের শহর মিসুরাটায় সোমবার সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ ত্রিপোলির কাছের আরেক শহর জাউইয়ার নিয়ন্ত্রণ এখনো ধরে রেখেছে সরকারবিরোধীরা৷ তবে সেখানে যেকোন মুহূর্তে বড় সংঘর্ষ শুরু হতে পারে৷ কেননা, শহরটির চারপাশ ঘরে রেখেছে গাদ্দাফিপন্থী সেনারা৷ এছাড়া আজদাবিয়া এবং রাজমা শহরে লিবিয়ার বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে শোনা যাচ্ছে৷

‘ভালবাসা'

গাদ্দাফির উল্টো সুর, লিবিয়ার মানুষ নাকি তাঁকে ভালবাসে৷ তাছাড়া ত্রিপোলিতে কোন বিক্ষোভ নেই বলেও দাবি করেছেন, ৪১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এই কর্নেল৷ বিবিসিকে গাদ্দাফি জানিয়েছেন, তাঁকে রক্ষায় তাঁর জনগণ প্রাণ দিতেও প্রস্তুত৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস অবশ্য গাদ্দাফির এই মন্তব্যকে ‘মতিভ্রম' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷

লিবিয়া ত্যাগ করছে বিদেশিরা

চীন জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ৩০ হাজার চীনা নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া আরো বেশকিছু দেশ তাদের নাগরিকদের লিবিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে৷ সোমবার লিবিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছে শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক৷ সাড়ে আট হাজার লিবিয়া প্রবাসী অন্য দেশ হয়ে বাংলাদেশে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও খবরে প্রকাশ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য