1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিপা শিবিরেই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

৩১ ডিসেম্বর ২০২০

লিপা শিবির ছাড়তে পারলেন না অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের ফলে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি।

https://p.dw.com/p/3nOjK
যাওয়া হলো না। বাস থেকে নেমে আবার শিবিরের পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ছবি: Kemal Softic/AP Photo/picture alliance

বসনিয়ার প্রবল শীতে পোড়া লিপা শিবিরেই থাকতে হলো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সারায়েভোর ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্রাডিনা শহরের পুরোনো একটি সামরিক ভবনে। কিন্তু সেখানে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ফলে সেখানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়নি। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ২৪ ঘণ্টা বাসে বসে ছিলেন। বুধবার বিকেলে তাঁদের বাস থেকে নেমে লিপা শিবিরেই ফিরে যেতে বলা হয়। 

বসনিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রী সেলমো চিকোটিচ জানিয়েছেন, ''বাসগুলি চলে গেছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা লিপাতেই আছেন।'' 

আশ্রয় নেই

লিপা শিবিরের অবস্থা শোচনীয়। ডিডাব্লিউকে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন(আইওএম)-এর  পিটার অয়েইয়ার্ত জানিয়েছেন, ''সমস্যা সমাধানের জন্য ইইউ খুব চেষ্টা করছে। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিবিদদের একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কোথায় থাকবেন। স্থানীয় স্তরে সিদ্ধান্ত নিলেই অচলাবস্থা কাটবে।''

তিনি একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, লিপা শিবিরে আশ্রয় নেয়ার জায়গাই নেই। নতুন কিছু কাঠামো হয়েছে। কিন্তু তাতে মাথার উপরে কিছু নেই। ফলে প্রবল শীতের মধ্যে কার্যত আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন এক হাজার মানুষ।

মানবিক সমস্যা

এর আগে বহুবার অভিযোগ উঠেছে, লিপা শিবির মানুষের বসবাসের যোগ্য নয়। এটা গরমের সময় অস্থায়ী থাকার জায়গা হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। শীতের সময়ে সেগুলিতে থাকা সম্ভব নয়।

গত সপ্তাহে আইওএম ঠিক করেছিল, সরকারের উপর চাপ দিতে তারা শিবির বন্ধ করে দেবে। তারপর স্থানীয় মানুষ শিবিরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ফলে এই প্রবল ঠান্ডায় এক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ভয়ঙ্কর বিপাকে পড়েছেন। এটা একটা মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। 

জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)