লিথুয়ানিয়া ভ্রমণের ৮টি কারণ
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এখন আর কেবল সেখানকার মানুষের ভ্রমণ গন্তব্য নয়৷ যেমন লিথুয়ানিয়ার বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি এবং শহরগুলো বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আদর্শ জায়গা হতে পারে৷ এ বছর তারা স্বাধীনতার শত বছর উদযাপন করছে৷
ভিলনিয়াস: বাল্টিকের মুক্তো
বিচিত্র সংস্কৃতি, অসাধারণ সৌন্দর্য, লাইভ মিউজিক আছে এমন পাব, দারুণ সব অলি-গলি, দুর্গ ভবন এবং দারুণ সব চার্চ মিলেই ভিলনিয়াস৷ ১৯৯৪ সালে এর ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়৷ এখানকার সবচেয়ে পরিচিত দর্শণীয় স্থানটি হলো সেন্ট স্টানিসলাউস এবং সেন্ট লাডিসলাউসের ক্যাথিড্রাল-বাসিলিকা৷
কিউরোনিয়ান স্পিট: সমুদ্রতীরবর্তী প্রকৃতির স্বর্গ
লিথুয়ানিয়ার সেরা গন্তব্য স্থল হলো কিউরোনিয়ান স্পিট, বাল্টিক সমুদ্রের একটি সরু উপত্যকা৷ এটাও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ, যেখানে আছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, বালুচর আর পাইনের সারি৷
নিদা: টোমাস মান-এর পদচিহ্ন
জার্মান লেখক টোমাস মান কিউরোনিয়ান স্পিটের সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিলেন৷ পরিবারের সঙ্গে তিনটি গ্রীষ্ম সেখানে কাটিয়ে ছিলেন তিনি৷ সেখানে বানিয়েছেন হলিডে হোম, যেখান থেকে নিদা’র উত্তর উপকূল এবং সমুদ্রের পানি দেখা যায়৷
ক্লাইপেদা: পোর্ট অ্যাট দ্য মাউথ অব দ্য নেমান
প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার জাহাজ এই বন্দরে ভেড়ে৷ এই বন্দরটিই কেবল পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নয়, এখানকার থিয়েটার স্কয়ারও আকর্ষণের কেন্দ্র৷ প্রায়ই এখানে কনসার্ট আর বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷
জাতীয় উদ্যান
কিউরোনিয়ান স্পিটসহ লিথুয়ানিয়ায় মোট পাঁচটি জাতীয় উদ্যান আছে৷ এই অঞ্চলে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে রেখেছে তারা, বিশেষ করে ত্রাকাই জাতীয় উদ্যানে৷
ত্রাকাই: ঐতিহাসিক দ্বীপ দুর্গ
ত্রাকাই শহরের ঠিক মাঝখানে জাতীয় উদ্যোনটির অবস্থান৷ সেখানে আছে দ্বীপ দুর্গটি৷ ১৪ অথবা ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে এটি৷ তখন ত্রাকাই ছিল লিথুয়ানিয়ার রাজধানী৷
তীর্থস্থান
দারুণ একটি জায়গা সিআউলিয়াই-এর কাছের ‘দ্য হিল অফ ক্রসেস’৷ এখানে ক্রস, ক্রুসিফিক্স, সন্ন্যাসীদের মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়৷ ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সব ক্রস সরিয়ে ফেলেছিল৷ কিন্তু এখানকার খ্রিষ্টানরা সেগুলো আবার স্থাপন করেছে৷
পার্নাক্স: ইউরোপের কেন্দ্রস্থল
ইউরোপের অনেক দেশই নিজেদের মহাদেশের কেন্দ্রস্থল বলে দাবি করে আসছিলো৷ কিন্তু ১৯৮৯ সালে ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ইনস্টিটিউট এটিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে গবেষণা করে দেখে যে, লিথুয়ানিয়ার গ্রাম পার্নাক্সের কাছেই ইউরোপের কেন্দ্রস্থল৷