1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাভ জিহাদ নিয়ে এবার সোচ্চার রাজনাথ

৩০ ডিসেম্বর ২০২০

এতদিন বলছিলেন বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রীরা। এবার লাভ জিহাদ নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

https://p.dw.com/p/3nMPy
লাভ জিহাদ নিয়ে সোচ্চার বিজেপি।ছবি: picture alliance/AP Photo/R. Kakade

লাভ জিহাদ নিয়ে খোলাখুলি নিজের মত জানালেন মোদী সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী এবং বিজেপি-র সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং। উত্তর প্রদেশে লাভ জিহাদ রুখতে নতুন ধর্মান্তর আইন চালু হয়েছে। তাতে এক মাসে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্প্রতি রায় দিয়েছে, যে কোনো প্রাপ্তপয়স্ক নারী বা পুরুষ নিজের পছন্দমতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারবেন। সেখানে ধর্ম বা অন্য কোনো বিষয় দেখা হবে না। তারপরে রাজনাথের মত হলো, বিয়ের জন্য ধর্মান্তর মেনে নেয়া যায় না।

রাজনাথ বলেছেন, '' যতদূর জানি, মুসলিম ধর্ম মতে, অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করা যায় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিয়ের জন্য ধর্মপরিবর্তন সমর্থন করি না। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিয়ে এবং ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের মধ্যে ফারাক আছে।'' সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাজনাথ বলেছেন, ''অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জোর করে ধর্মান্তর করানো হচ্ছে। অনেক সময় লোভ দেখিয়ে করানো হচ্ছে। আমার মনে হয়, আইন করার আগে সরকার সব বিষয়ই ভেবে দেখেছে।''

লাভ জিহাদ নিয়ে বিজেপি-র ছোটখাট নেতা, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীদের বলার সঙ্গে রাজনাথের বলার মধ্যে ফারাক আছে। রাজনাথ এখন মোদী সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবীণ মন্ত্রী। তিনি উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজপুত নেতা। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের পরই মন্ত্রিসভায় তাঁর স্থান। তাঁর বলা মানে মোদী সরকারও যে লাভ জিহাদ বন্ধ করতে ধর্মান্তর আইন সমর্থন করছে তা পরিষ্কার হয়ে যাওয়া বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

হঠাৎ, বিজেপি এই সময় লাভ জিহাদকে কেন সামনে নিয়ে আসছে? প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''এর প্রধান উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। এর আগে সিএএ, এনআরসি, ৩৭০ ধারা বিলোপের মতো বিষয়গুলি সামনে এনে বিভাজনের চেষ্টা হয়েছে। লাভ জিহাদকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সেই কাজটাই করা হতে পারে।''

আরেক প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''পশ্চিমবঙ্গে তো এই প্রসঙ্গ তুলে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অমর্ত্য সেন তিনটি বিয়ে করেছেন, আলাদা সম্প্রদায়ের মেয়েকে। অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, লাভের মধ্যে জিহাদ থাকতে পারে না। তারই প্রতিক্রিয়া এভাবেই দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।''

কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, কৃষক বিক্ষোভ, বেহাল অর্থনীতি, বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মোদী সরকার চাপে। ফলে মানুষের নজর ঘোরাতে তারা লাভ জিহাদকে ব্যবহার করছে। সাধারণত দলগুলি এরকম কৌশল নেয়।

কারণ, যাই হোক না কেন, বিজেপি যে লাভ জিহাদের প্রসঙ্গ নিয়ে আরো সোচ্চার হবে, রাজনাথের মন্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।

জিএইচ/এসজি(এএনআই, পিটিআই)