1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাদাখে ফের ভারত-চীন সংঘাত

৩১ আগস্ট ২০২০

লাদাখের প্যাংগং অঞ্চলে ফের সংঘাতে ভারত ও চীনের সেনা। উত্তেজনা কমাতে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে দুই দেশের সেনা অফিসাররা।

https://p.dw.com/p/3hmps
ছবি: DW/S. Ghosh

লাদাখে ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলো। ভারত সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং সো অঞ্চলে স্থিতাবস্থা ভেঙে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল চীনের সেনা। ভারতীয় সেনা তা আটকে দিতে পেরেছে। ঘটনাটি ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারত-চীন সীমান্তে। সোমবার সকালে চুসুলে বৈঠকে বসেছে ভারত এবং চীনের কম্যান্ডার পর্যায়ের সেনা অফিসাররা। নতুন সমস্যা যাতে আর বাড়তে না পারে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বৈঠকে।

ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ অগাস্ট রাত থেকে ৩০ অগাস্ট ভোর পর্যন্ত প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে চীনের সেনার পেট্রোল দেখতে পায় ভারতীয় সেনা। ভারতের অভিযোগ, প্যাংগংয়ের দক্ষিণে ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনের সেনা নতুন করে ঢোকার চেষ্টা করছিল। ভারতীয় সেনা জওয়ানরা পিপলস লিবারেশন আর্মিকে বাধা দেয়। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলেও সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

উত্তেজনা প্রশমন করতে সোমবার সকালেই ভারত-চীন সীমান্তে চুসুলে দুই পক্ষ ফ্ল্যাগ মিটিং শুরু করেছে। বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।

গালওয়ান সংঘর্ষের পর লাদাখ সীমান্তে দুই পক্ষই প্রভূত পরিমাণ ফৌজ জমা করেছে। লে বিমানবন্দরে তৈরি রয়েছে যুদ্ধবিমান। বেশ কিছু দিন স্ট্যান্ডঅফের পরে দুই পক্ষই সীমান্ত থেকে সৈন্য পিছিয়ে নিতে রাজি হয়। কিন্তু প্যাংগং ও গোগরা হট স্প্রিং অঞ্চল নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়নি। প্যাংগংয়ে আটটি ফিঙ্গার পয়েন্ট আছে। ভারতের দাবি ফিঙ্গার পয়েন্ট আট পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ড। চীনের দাবি ফিঙ্গার পয়েন্ট পাঁচ পর্যন্ত চীনের অংশ। সেই বিতর্কের সমাধান এখনও হয়নি। দুই পক্ষই ওই অঞ্চলে পেট্রোলিং চালানোর চেষ্টা করছে। শনিবার রাত এবং রোববার সকালের নতুন সংঘাত ওই অঞ্চলেই ঘটেছে।

গত সপ্তাহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর লাদাখ সংঘাত নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে এত কঠিন পরিস্থিতি আর তৈরি হয়নি। পাল্টা বিবৃতি দিয়েছিলেন চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, ভারত এবং চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য দু'দেশকেই যথেষ্ট আন্তরিক হতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিবাদ মেটানোর রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে।

অন্য দিকে, ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াতও গত সপ্তাহে বলেছিলেন, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক আলোচনা ভেস্তে গেলে চীনকে সামরিক শক্তি দিয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত। গত সপ্তাহের ওই বিবৃতি যুদ্ধের পরেই নতুন করে সংঘাত হলো কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।

এসজি/জিএইচ (ভারত সরকারের বিবৃতি)