লাইসেন্স ইস্যুতে তুরস্কে ডয়চে ভেলে বন্ধ
১ জুলাই ২০২২ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুরস্কের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
তুরস্কের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন সুপ্রিম কাউন্সিল (আরটিইউকে) বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ জার্মান সম্প্রচার সংস্থার মূল ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন ভাষাভিত্তিক ওয়েবসাইটের কোনোটিতেই এখন আর তুরস্ক থেকে ঢোকা যাচ্ছে না৷ ডয়চে ভেলে ৩২টি ভাষায় খবর প্রচার করে থাকে৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্কের মিডিয়া ওয়াচডগটি ডিডাব্লিউ ও অন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে বলে৷ অন্যথায় দেশটির ২০১৯ সালের মিডিয়া আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানায়৷
ডিডাব্লিউ বিবৃতি দিয়ে জানায় যে, তারা এটি মানতে পারছে না, কারণ, এতে তুর্কি সরকার তাদের কনটেন্ট সেন্সর করার অধিকার পাবে৷
ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ বলেন, ‘‘আমরা বিস্তারিতভাবে চিঠির মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে কেন আমরা এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারি নাা তা জানিয়েছি৷ যেমন, তুরস্কে লাইসেন্সকৃত মিডিয়াগুলোকে আরটিইউকের কাছে অনুপযুক্ত মনে হয়- এমন অনলাইন কনটেন্ট মুছে দিতে হয়৷ একটি স্বাধীন সম্প্রচার মাধ্যমের কাছে এটি অগ্রহণযোগ্য৷’’
‘‘ডয়চে ভেলে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে,'' যোগ করেন তিনি৷
ডিডাব্লিউ ও অন্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে তুরস্কের জনগণ স্বাধীন খবর পায়৷ এর আগে ভয়েস অব অ্যামেরিকা ও ফ্রান্সের ইউরোনিউজকেও লাইন্সের নোটিশ পাঠিয়েছিল আরটিইউকে৷
২০১৯ সালের তুর্কি মিডিয়া আইনের শর্ত মেনে দেশটিতে একটি লিয়াজোঁ অফিস বসিয়েছে ডয়চে ভেলে৷ ২০২০ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে সেখানকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনও করেছে৷
দেশটির দশ সদস্যের আরটিইউকে বোর্ডে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ানের রক্ষণশীল একেপি দল ও অতি ডানপন্থি এমএইচপি দলের প্রাধান্য রয়েছে৷