লম্বা রেসের ঘোড়া কেজরিওয়াল
খড়গপুর আইআইটি-র ছাত্র অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক দৌড় পুরোপুরি স্বপ্নের মতোই।
বিজেপি এবং কেজরি
গোটা দেশ জুড়ে যখন বিজেপির গাড়ি পাঁচ নম্বর গিয়ারে চলছে, তখন নরমে-গরমে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন কেজরিওয়াল। পাঞ্জাব আরো একবার তা প্রমাণ করে দিল।
পাঞ্জাবে কেজরি
২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে কেজরিওয়ালের দল। বাকি সমস্ত রাজ্যে যখন বিজেপি কার্যত বুলডোজার চালিয়েছে, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির জয় নিঃসন্দেহে অর্থবহ।
রাজনৈতিক অঙ্ক
কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক অঙ্ক। যে কারণে বিরোধী শক্তিগুলিকে নিয়ে তৈরি বিজেপি-বিরোধী জোটেও সেভাবে যোগ দিতে চাননি কেজরিওয়াল। নিজের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ধরে রাখতে চেয়েছেন।
দিল্লি থেকে উত্থান
দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সেখানে বিধানসভা থাকলেও রাজ্য সরকারের হাতে তত বেশি ক্ষমতা নেই। এই প্রথম পূর্ণ রাজ্যে শাসন করবে আপ।
উন্নয়নই ভরসা
গোটা দেশ যখন ধর্মীয় মেরুকরণের অঙ্কে চলছে, কেজরিওয়াল তখন উন্নয়নকেই হাতিয়ার করে লড়াইয়ে নেমেছেন। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য তার প্রথম লক্ষ্য। দিল্লিতে সেই মডেল তিনি তৈরি করতে পেরেছেন। পাঞ্জাবে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
'পানি মাফ, বিজলি হাফ'
দিল্লিতে কেজরিওয়ালের স্লোগান ছিল 'পানি মাফ, বিজলি হাফ', অর্থাৎ, জল ব্যবহারের জন্য কোনো পয়সা লাগবে না, বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করা হবে। কম নবিদ্যুৎ ব্যবহার করলে কোনো পয়সাই দিতে হবে না। তার সেই প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ করেছেন কেজরিওয়াল।
অন্য রাজ্যে নজর
কেজরিওয়ালের দল গোয়াতেও দুইটি আসনে জিতেছে। কেজরিওয়ালের লক্ষ্য এবার অন্য রাজ্যেও আপকে ছড়িয়ে দেয়া। কংগ্রেস ক্রমশ হীনবল হচ্ছে। সেই জায়গাটা দখল করা। ফলে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কেজরিওয়াল।
রাস্তা সহজ নয়
জাতীয় রাজনীতিতে কেজরিওয়াল কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি এবং কংগ্রেসের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই কেজরিওয়ালের এখন সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।