1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লন্ডনের যে এলাকা স্থপতিদের ডেরা

১২ জুন ২০২০

লন্ডনে আকর্ষণের অভাব নেই৷ প্রাণবন্ত এই শহর অনেক পরিবর্তনেরও সাক্ষী৷ যেমন অবহেলিত একটি এলাকা বর্তমানে স্থপতি, শিল্পী ও সৃজনশীল মানুষের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে৷ এলাকার আকর্ষণে অতিথিদেরও সমাগম ঘটছে৷

https://p.dw.com/p/3df3o
ক্লার্কেনওয়েল
ছবি: DW

লন্ডন শহরের অতি সাধারণ এলাকা মনে হলেও ক্লার্কেনওয়েলের একটা বিশেষত্ব রয়েছে৷ ডিজাইনার, স্থপতি, শিল্পী ও সৃজনশীল মানুষ সেখানে ডেরা বাঁধতে ভালবাসেন৷ ব্যাংকিং কেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত এই এলাকার বাসিন্দা ও অতিথিরা চারিপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করেন৷ যেমন মেগান বরোস৷ তিনি ক্লার্কেনওয়েলের এক ক্রিয়েটিভ এজেন্সিতে কাজ করেন৷ মেগান বলেন, ‘‘সুন্দর ডিজাইন এখানে বিরল নয়৷ শুনতে হাস্যকর মনে হলেও বিশ্বের অন্য কোথাও স্থপতিদের এমন ঘনবসতি নেই৷ ফলে এই এলাকায় সবাই কোনো না কোনো ভাবে ডিজাইন ও নন্দনতত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত৷ সেইসঙ্গে সবাই নিজেদের এই গোষ্ঠীর অংশ বলে মনে করে৷’’

ডিজাইনারদের সংঘ ঘরগুলি ডিজাইন করে৷ শিল্পী ও স্থপতিরা সেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ যেমন ‘বোর্ন অ্যান্ড হলিংসওয়ার্থ' ভবনে তার পরিচয় পাওয়া যায়৷ নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে স্থপতিরা লন্ডনের এই এলাকায় আসতে শুরু করেন৷ আগে সেখানে বিয়ার তৈরি, বই ছাপা বা জিন নামের পানীয় ডিস্টিল করা হতো৷ এখন সেখানে সৃজনশীল মানুষ সৃষ্টির কাজে মেতে রয়েছেন৷ এককালের জরাজীর্ণ ও সস্তা ভাড়ার এলাকা এখন ঝাঁ চকচকে ও দামী অফিস ও বাসভবনে ভরে গেছে৷

সৃজনশীলদের শহর ক্লার্কেনওয়েল

‘স্টুডিও এগ্রেট ওয়েস্ট' নামের স্থপতিদের কোম্পানি সেই প্রবণতার সূচনার অংশীদার ছিল৷ এমনকি স্থপতিরাও তার পরিণাম উপেক্ষা করতে পারেন নি বলে ক্রিস্টোফর এগ্রেট মনে করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মতে, অনুসরণ করেই হয়৷ শহরের বিবর্তনের অংশ হতেই হবে৷ কোনো শহর থমকে দাঁড়িয়ে থাকুক, কেউ এমনটা চায় না৷ আপনি কি আগামী একশো বছরের জন্য স্থপতিদের একই জায়গায় দেখতে চান? অবশ্যই না!’’

দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘ক্লার্কেনওয়েল ডিজাইন সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে সৃজনশীল মানুষের সমাবেশ দেখা যায়৷ প্রদর্শনী, কর্মশালা ও লেকচারের মাধ্যমে তাঁরা প্রকল্প ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷

অ্যামান্ডা লি হোপ তাঁদেরই একজন৷ গয়নার ডিজাইনার হিসেবে তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে চূড়ান্ত পণ্যের বিবর্তন তুলে ধরছেন৷ স্থপতি হিসেবে প্রশিক্ষণ সত্ত্বেও তিনি বিগত দশ বছর ধরে ক্লার্কেনওয়েলের হ্যাটেন গার্ডেন পাড়ায় নিজের কর্মশালায় গয়নার ডিজাইন করে চলেছেন৷ অ্যামান্ডা মনে করেন, ‘‘গয়নাপট্টি হিসেবে পরিচিত হ্যাটন গার্ডেন পাড়া সৌভাগ্যবশত নিজস্ব গৌরব তুলে ধরে৷ এটাই লন্ডনের একমাত্র এলাকা, যেখানে এখনো গয়নার মতো পণ্য আগাগোড়া তৈরি হয়৷ জহুরি হিসেবে এটাই আমার প্রধান আকর্ষণ৷’’

শিল্পী ও সৃজনশীল মানুষ এই এলাকার বার বা পাবের আকর্ষণও এড়াতে পারেন না৷ ক্লার্কেনওয়েল এলাকার ‘দ্য জেটার টাউনহাউস' হোটেলের বারে তাজা ককটেল পানের মজাই আলাদা৷ অথবা ছুটির পর পাবে বসে এক মাত্র বিয়ার সেবন করা যেতে পারে৷ যেমন এক্সমাউথ বাজারের অসংখ্য বার ও রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যাবেলায় স্থানীয় এজেন্সি ও স্টুডিওর কর্মীদের ভিড় দেখা যায়৷

যোগাযোগ ও সৃজনশীলতার প্রতীক হয়ে উঠছে ক্লার্কেনওয়েল৷ স্থানীয় বাসিন্দা, কর্মী অথবা অতিথি – এখানকার মানুষই মূলত এলাকাটির মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করেছেন৷

হেন্ড্রিক ভেলিং/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান