লন্ডনে বহুতল ভবনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
বুধবার রাত্রে পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ার নামের একটি ২৪ তলা বাড়িতে আগুন লেগে অন্তত ছয় জন মানুষের প্রাণ হারানোর কথা বলেছে লন্ডন পুলিশ৷ আরো ৫০ জনকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
কারণ জানা নেই
লন্ডনের দমকল বিভাগের বিবৃতি অনুযায়ী, দৃশ্যত বহুতল ভবনটির তিনতলায় আগুন শুরু হয়, যদিও কিভাবে আগুন লেগেছে তা এ পর্যন্ত জানা যায়নি৷ দমকলের কর্মীরা বাড়িটির বিশ তলা অবধি পৌঁছেছেন৷ শুরুতে আশঙ্কা করা হলেও দৃশ্যত আপাতত বাড়িটি ধসে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই৷ তাই দমকলকর্মীরা সিঁড়ি বেয়ে উঠে উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন৷
আটকে পড়া মানুষ
ওপরের সব তলায় আটকে পড়া বাসিন্দারা নাকি টর্চ বা মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে তাঁদের দুরবস্থার কথা জানানোর চেষ্টা করেছেন৷ বিছানার চাদর পাকিয়ে দড়ি করে, সেই দড়ি বেয়ে নীচে নামার চেষ্টা, এমনকি সরাসরি জানালা থেকে ঝাঁপ দেওয়া দৃশ্যও দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ আটকে পড়া মানুষদের চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দ মোবাইলের ভিডিওতেও শোনা গেছে৷
নানা অভিযোগ
বাড়িটির মালিক কেনসিংটন ও চেলসির রয়াল বরো বা স্থানীয় পরিষদ, অর্থাৎ এটি একটি সরকারি আবাসন৷ গত বছর বাড়িটিতে কিছু মেরামতির কাজ হয়৷ তখন থেকে যেসব জিনিসপত্র পড়ে ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে আবাসিকদের বিপদ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সচেতন করে দিয়েছিল বাড়ির বাসিন্দাদের একটি সমিতি৷
বহু মানুষের বাস
২৪ তলা বাড়ির ১২০টি ফ্ল্যাটে মোট ৫০০ মানুষ বাস করতেন৷ বাড়িটিতে লিফ্ট ছাড়া মাত্র একটি সিঁড়ি ছিল৷ রাত একটা নাগাদ আগুন লাগার পর অনেক বাসিন্দা ধোঁয়া সত্ত্বেও সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসেন৷ ধোঁয়া লেগে অসুস্থ হয়ে পড়া বেশ কিছু মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়৷
প্রশ্নের পর প্রশ্ন
আগুন কিভাবে লাগল? বাড়িটিতে অগ্নি-নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কিনা? অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে লন্ডন পুলিশ, কেননা একটি একটি করে বাড়িটির প্রতিটি তলা খুঁজে দেখা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন যে, এই অগ্নিকাণ্ডের পর বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে...