লকডাউন শুরুর আগে এ কেমন লন্ডন!
ক্রিসমাস ও নববর্ষে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৬ ডিসেম্বর থেকে লন্ডন ও কয়েকটি শহরে শুরু হয়েছে লকডাউন৷ কিন্তু ১৫ তারিখ রাতে বিভিন্ন বার ও রেস্তোরাঁয় যে অবস্থা দেখা গেলো তা ভয়াবহ!
এ যেনো বর্ষবরণের উৎসব!
রাত ১২টা থেকে লকডাউন শুরু৷ তার আগে সন্ধ্যা থেকে লন্ডনের পাব আর রেস্তোরাঁয় মানুষের এই ভিড় দেখে যে কেউ ভাববে কোন উৎসব চলছে৷ আস্ত টার্কি, লবস্টার আর পানীয়ের ছড়াছড়ি৷ রাস্তায় নেমে পার্টি করেছে কয়েকশ’ মানুষ৷
‘লাস্ট সাপার’
১৫ তারিখের এই উৎসব মুখর পরিবেশকে অনেকে ‘দ্য লাস্ট সাপার’ বা যীশুর শেষ নৈশভোজের সঙ্গে তুলনা করছেন৷
রাস্তায় পার্টি
এ যেনো চাঁদ রাত! কেবল বার বা রেস্তোরাঁ নয়, রাস্তায় ঝলমলে পোশাকে পার্টি করেছেন লন্ডনের মানুষ৷
লন্ডনের সোহো
লন্ডনের সোহোর একটি রেস্তোরাঁর বাইরে অনেক মানুষ৷ এই ওয়েটারকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্রাম নেয়ার একদণ্ড সময় নেই তার হাতে৷
যা বন্ধ
ইংল্যান্ডে নতুন এই লকডাউনে ক্যাফে, বার, রেস্তোরাঁ, পাব বন্ধ থাকবে৷ ক্রিসমাসে যেসব রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিল সব বাতিল করা হয়েছে৷ তবে বাড়িতে খাওয়ার সরবরাহের ব্যবস্থা থাকছে৷
ভেরি হাই অ্যালার্ট
লন্ডনে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা৷ আর এ কারণেই প্রশাসন এই কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে৷ যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এর আগে ‘টায়ার টু’ লকডাউন দেয়া হয়েছিল, যা ছিল ‘হাই অ্যালার্ট’ আর এবারেরটা টায়ার থ্রি, যা ‘ভেরি হাই অ্যালার্ট’ অর্থাৎ সর্বোচ্চ সতর্কতা৷
খাদ্যসামগ্রীর দোকান খোলা
লকডাউনের আগেই বাড়ির বাইরে বেশি মানুষের মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ এমনকি বাড়ির বাগানে একসাথে অনেকে জমায়েত হতে পারবেন না৷ তবে খাদ্যসামগ্রীর দোকান খোলা থাকছে৷
তিন পরিবারের সদস্য
নতুন এই লকডাউনের আওতায় ক্রিসমাসে, অর্থাৎ ২৩ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে তিনটি পরিবার একসাথে হতে পারবে৷ লন্ডনের মেয়র সবাইকে নতুন এই বিধিনিষেধ মানার আহ্বান জানিয়েছেন৷
শেষ নাচ
মঙ্গলবার রাতে পাবের সামনে এভাবেই নাচতে দেখা যায় দুই নারীকে৷
নেই কোন নিয়ম কানুন
এদের দেখে কে বলবে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের অবস্থা ভয়াবহ! নেই মাস্ক, নেই কোন সামাজিক দূরত্ব৷ এ যেনো করোনার আগের অবস্থা!
পুলিশের টহল
লকডাউন শুরুর ঠিক আগে রাস্তায় রাস্তায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়৷