লক ডাউনের পর কলকাতা
সরকারিভাবে বলা হচ্ছে আনলক ১.০। দফায় দফায় উঠে যাবে বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক হবে শহর কলকাতা। সোমবার, পয়লা জুন তারই সূচনা হলো।
সতর্ক শহর
সরকারি, বেসরকারি দপ্তর আংশিক খুলেছে। কিন্তু মাসপয়লায়, সোমবারের প্রথম কাজের দিনের তুলনায় কলকাতার রাস্তা বেশ ফাঁকা। গড়িয়াহাট মোড়। বেলা ১১টা।
অটোর ভিড়
বাসের সংখ্যা বেশ কম, ফলে ভিড় জমছে অটোরিকশয় ওঠার জন্য।
রাস্তা সাফাই
শহরের বড় রাস্তাগুলো সাফ হলেও সংযোগরক্ষাকারী বেশ কিছু রাস্তা জুড়ে এখনো ভেঙে পড়া গাছ। বুলডোজার দিয়ে সাফাই চলছে।
বন্ধু ওড়িশা
ঘূর্নিঝড় সামাল দেওয়ায় যারা অভিজ্ঞ, প্রতিবেশী রাজ্য সেই ওড়িশা পাঠিয়েছিল উদ্ধারকর্মীদের। তাঁরা এখনও ব্যস্ত শহরের রাস্তা বিপন্মুক্ত করতে।
মাস্ক আবশ্যিক
গাড়িতে, টু–হুইলারে, অথবা পায়ে হেঁটে, মুখ মাস্কে ঢাকা দেওয়াটা প্রায় সবাই অভ্যেস করে ফেলেছেন।
নামাজ বাড়িতেই
১ জুন থেকে ধর্মস্থান খোলা রাখার ছাড় দেওয়া হলেও মসজিদ বন্ধই রয়েছে। বাড়িতেই নমাজ পড়ার পরামর্শ দিয়ে ইমামসাহেবের বিজ্ঞপ্তি।
ফেরার প্রস্তুতি
তবে শহর তৈরি হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। রোদে দেওয়া হয়েছে মসজিদের কার্পেট।
রাস্তা বন্ধ
কলকাতার প্রধান তীর্থক্ষেত্র কালীঘাটের রাস্তা গাছ পড়ে এখনও বন্ধ। সরানো চলছে। তাই দোকান খুললেও, রাস্তা খোলেনি।
বন্ধ মন্দিরও
মসজিদের মতো মন্দিরের দরজাও বন্ধ। আরো দু’সপ্তাহ এরকম বন্ধই থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে।
ঘুমন্ত পাড়া
পুণ্যার্থী, পাণ্ডা, ভিখারিদের ভিড়ে সরগরম থাকে কালীঘাটের মন্দির সংলগ্ন যে এলাকা, সেখানে এখন অসময়ের ঘুম।