1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

২১ আগস্ট ২০১৯

রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি মিয়ানমারের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান উ উইন ম্রা৷

https://p.dw.com/p/3OFqk
মিয়ানমার ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান উ উইন ম্রা৷ছবি: যোবায়ের আহমেদছবি: DW/Z. Ahmed

ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অনেক এগিয়ে নিয়েছে৷ রোহিঙ্গাদের বারবার ‘ কক্সবাজারে থাকা শরণার্থী' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিগোষ্ঠী হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতির বিষয়টি জটিল এবং মিয়ানমারের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷

আইন হুট করে তো আর বদলানো যাবে না, আমরা কিছু সুপারিশ দিয়েছি, তবে এটি সময়সাপেক্ষ, বলেন তিনি৷

জার্মানিতে রিলিজিয়ন্স ফর পিস সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তিনি ডয়চে ভেলেকে এসব কথা বলেন৷ তবে সেখানে আসা মিয়ানমারের অন্য প্রতিনিধিদের কারো কারো রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার সরকারের অবস্থান নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মতামত৷

যেমন, তাড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গা নেতাদের ফেরত নেবে না মিয়ানমার সরকার, এমন আশঙ্কা রোহিঙ্গা নেতা আবু তাহায়ের৷

ডয়চে ভেলেকে রোহিঙ্গা রাজনৈতিক নেতা আবু তাহায়ের বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে তার সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে৷ তিনি বলেন, প্রথম যখন রোহিঙ্গারা ব্যাপক আকারে বাংলাদেশে পালাতে শুরু করেন, তখন এখানকার সরকার বলা শুরু করে যে, রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যেতে শুরু করেছে৷ তার মানে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে৷ এর অর্থ এদের আর কখনো ফেরত নেবে না তারা৷

‘পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে’

তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যাবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি৷ সম্প্রতি প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে যে খবর চাউর হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে জানান৷

প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে বলে মনে করেন না সে দেশের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান উ উইন ম্রা৷ তিনি কফি আনান কমিশনের সদস্য৷

‘‘কফি আনান কমিশন থেকে আমরা ৮৮টি সুপারিশ করি,  এর মধ্যে সার্বিকভাবে মানবাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়৷'' ডয়চে ভেলেকে বলেন ম্রা৷

প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি৷ পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷

ম্রা বলেন, সম্প্রতি পরিস্থিতি আরো ভালো হয়েছে৷ দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে৷ এর ফলে ককসবাজারে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে৷

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি৷ দুবছর আগে ২৫ আগস্ট সবচেয়ে বড় এই শরণার্থী ঢল নামে বাংলাদেশে৷