1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শিশুরা ইতিহাস, সংস্কৃতি পড়বে

২৯ জানুয়ারি ২০২০

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ৷ মিয়ানমারের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী তারা পড়ালেখা শিখবে৷

https://p.dw.com/p/3Wy3O
BdTD Bangladesch Rohingya Flüchtlingskinder in Cox's Bazar
ছবি: Reuters/M.P. Hossain

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এএফপিকে বলেছেন, ‘‘আমরা একটি হারিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা প্রজন্ম চাই না৷ আমরা চাই তারা পড়ালেখা শিখুক৷ তারা মিয়ানমারের পাঠ্যসূচি অনুসরণ করবে৷''

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রোহিঙ্গা শিশুরা ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত মিয়ানমারের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়ালেখা করবে৷ তাদেরকে কারিগরি প্রশিক্ষণও দেয়া হবে, যেন তারা যখন মিয়ানমারে ফিরে যাবে তখন সেখানে চাকরি করতে পারে৷

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, শিগগিরই দশ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু হবে৷

রোহিঙ্গা শিবিরে পাঁচ লাখের বেশি শিশু রয়েছে৷ এতদিন তারা বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমারের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারত না৷ ইউনিসেফের উদ্যোগে তৈরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়ের লেখাপড়া করতে পারতো তারা৷

ফলে কিছু রোহিঙ্গা শিশু ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বাংলাদেশের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল৷ গতবছর অভিযান চালিয়ে তাদের কয়েকজনকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে৷ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সেই সময় বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করেছিল৷

এছাড়া বিভিন্ন ইসলামি গোষ্ঠীর গড়ে তোলা মাদ্রাসাগুলোতেও শিক্ষা নিয়ে থাকে রোহিঙ্গা শিশুরা৷

প্রতিক্রিয়া

রোহিঙ্গা যুব নেতা ও মানবাধিকার কর্মী রফিক বিন হাবিব রোহিঙ্গা শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের অনুমতি পাওয়ায় খুব খুশি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কথা দিয়ে আমার আনন্দ প্রকাশ করতে পারবনা... বৈষম্যের কারণে রোহিঙ্গাদের কয়েক প্রজন্ম মিয়ানমারেই তেমন শিক্ষাগ্রহণ করেত পারতনা৷''

এই সিদ্ধান্তের কারণে শিশুদের মৌলবাদী হয়ে যাওয়ার সুযোগও কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি৷

এদিকে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো এএফপিকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘উপযুক্ত সময়ে তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি সহজ করবে'৷

জেডএইচ/কেএম (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য