1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোমে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে এবার আগুন ছুটবে

২৬ মে ২০০৯

বার্সা, মানে বার্সেলোনা৷ এবং ম্যান ইউ বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রেড ডেভিলরা৷ ওদিকে কোচ অপক্ক পেপ গুয়ার্দিয়োলা, এদিকে সুপক্ক আলেক্স ফার্গুসন৷

https://p.dw.com/p/HxuL
ছবি: AP Graphics/DW

ওদিকে লিওনেল মেসি তো এদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো - বাকিদের না হয় নাম না'ই করা গেল৷

দু'পক্ষেই অফেন্সে অসাধারণ ফায়ারপাওয়া, কিন্তু ডিফেন্সে নানা দুশ্চিন্তা৷ ম্যান ইউ-এর কোচ আলেক্স ফার্ঘুসন ভাবছেন, সোন্টার ব্যাক রিও ফার্ডিনান্ডের পায়ের ডিমের সমস্যাটা পুরোপুরি কেটেছে কিনা৷ বার্সার দুই ফুলব্যাক ডানিয়েল আলভেস এবং এরিক আবিডাল সাসপেন্ডেড৷ ডিফেন্সের কেন্দ্রে রাফায়েল মার্কেজ চোটের জন্য বাদ৷ গুয়ার্দিয়োলা হয়তো মাঝমাঠের সেইডু কাইটা'কে সিলভিনিও'র সামনে লেফ্ট ব্যাক দাঁড় করাবেন৷ ইয়াইয়া টুরে সেন্টার ব্যাকই থাকবে৷ ক্যাপ্টেন কার্লেস পুইওলকে আরো ডানদিকে সরানো হবে - তিনি তো আবার সর্বত্রই খেলতে পারেন৷ ভালো খবর: থিয়েরি অঁরি এবং আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা দু'জনেই পুরো ট্রেনিং করার পরেই রোমে পা দিয়েছেন৷

‘‘রণক্ষেত্র''

ইউনাইটেড আসে একদিন আগে, সোমবার৷ বার্সেলোনা মঙ্গলবার দুপুরে৷ ইতালির ফ্যাসিস্ট একনায়ক মুসোলিনির আমলে তৈরী স্টাডিও অলিম্পিকো৷ টীম আসার সঙ্গে সঙ্গে ফ্যানরাও পৌঁছচ্চে, ম্যানচেস্টারের আনুমানিক ত্রিশ হাজার, বার্সার বিশ হাজার৷ শহরের বিশেষ বিশেষ এলাকায় পানমত্ত ফ্যানদের বিপদ রোখার জন্য মদের উপর নিষেধাজ্ঞা৷ রোমে নামানো হচ্ছে ৫০,০০০ পুলিশ৷

সমানে-সমানে

কিন্তু দুনিয়ার মানুষ ঘন্টা-মিনিট গুণছে, ইউরোপ তথা বিশ্বের সেরা দু'টি ক্লাবের এই স্বর্গীয় সংঘাতের অপেক্ষায়৷ লা লিগা, কিংস কাপ জিতে রোমে আসছে বার্সা, প্রথম স্পেনীয় ক্লাব হিসেবে ত্রিমুকুট অর্জন করতে - চিরকালের প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদও যা পারেনি৷ ম্যান ইউ তা করে ১৯৯৯ সালে, এবার তারা আসছে বিশ্ব ক্লাব খেতাব, লীগ কাপ এবং প্রিমিয়ার লীগ জিতে৷

বার্সা খেলবে ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে, ইউনাইটেডও তাই - যদি না ফার্গুসন কোরিয়ার পার্ক জি-সুং'কে খেলান এবং ৪-৪-২-তে যান৷

এবার ভাবুন দু'পক্ষের রথী-মহারথীদের লাইন-আপ: বার্সার লিওনেল মেসি, স্যামুয়েল এটো, থিয়েরি অঁরি'র বিরুদ্ধে ওয়েন রুনি এবং অধুনা বিশ্বের সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক