1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপারেশন করছে রোবট!

৯ জানুয়ারি ২০১৭

জার্মানির বোখুম শহরের হাসপাতালে রোবোট একজন কর্মী৷ সার্জন কম্পিউটারে দাঁড়িয়ে রোবোট চালাচ্ছেন, রোবোট পেশেন্টের শরীরে অপারেশন করছে৷ রোবোট পেশেন্টদের খাবার নিয়ে আসছে, পেশেন্টের জ্বর মাপা হলে, তা লিখে রাখছে৷

https://p.dw.com/p/2VVeS
USA CES 2017 in Las Vegas Avatar iPal Roboter
ছবি: Reuters/R. Wilking

কেমন করে অপারেশন করে রোবট?

দু'ঘণ্টা ধরে অপারেশন চলছে, সার্জনরা অপারেশন টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে৷ পেশেন্টের অন্ত্রনালীর ক্যানসার৷ কম করে আরো চার ঘণ্টা অপারেশন চলবে৷ বেশিও লাগতে পারে৷

সিস্টার আর ডাক্তাররা ছাড়া বোখুমের আউগুস্টা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে একটি রোবোটও আছে৷ তার নাম দা ভিঞ্চি৷ সে যে কোনো মানুষের চেয়ে নিখুঁতভাবে স্কাল্পেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে৷ চিফ সার্জন বেনো মান রোবোটটিকে চালান৷ তাঁর প্রতিটি নড়াচড়া পেশেন্টের শরীরের ভিতর রোবোটের ‘হাতগুলোর' নড়াচড়ায় পরিবর্তিত হয়, এক মিলিমিটার হেরফের হয় না৷ এছাড়া রোবোট ক্লান্তি বলে কিছু জানে না৷

ডাক্তারি করছে রোবট?
ছবি: AP

ড. মান বলেন, ‘‘অপারেটর সবসময়ে আমি৷ রোবোট আমার কাজটা সহজ করে দেয়; আমি যা করতে চাই, রোবোট তা পেশেন্টের শরীরে নিখুঁতভাবে করে দেয়৷ আমি যদি রোবোট ছাড়া অপারেশন করি, তাহলে সেটা দু'তিন ঘণ্টার বেশি ভালোভাবে করা সম্ভব নয় – বুঝতেই পারছেন৷ তারপর হাত নড়ে যায়, কিংবা হাত কাঁপতে শুরু করে৷ এখানে সে সব বিপত্তি নেই৷''

কিচেনে তখন চরম ব্যস্ততা৷ প্রতিদিন ১,২০০ মিলের ব্যবস্থা করতে হয়৷ বিভাগ অনুযায়ী রোবোটরা খাবারের ওয়াগনটিকে ঠিক ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয়৷ হাসপাতালের লম্বা করিডর ধরে খাবার পৌঁছে যায় সঠিক বিভাগে৷ মানুষের সাহায্য লাগে না৷ পেশেন্ট বা হাসপাতাল কর্মীরা পথে পড়লে খাবারের গাড়ি সেটা ঠিকমতো কাটিয়ে যায়, সঠিক রাস্তা বেছে নিয়ে আগে থেকে প্রোগ্রাম করা লক্ষ্যে পৌঁছে যায়৷ রোবোট পৌঁছালে সিস্টাররা খবর পান যে, এবার পেশেন্টদের খাবার দেবার সময় হয়েছে৷ নার্স কাটিয়া আর্নস শোনালেন, ‘‘বহু পেশেন্ট এটা দেখে অবাক হয়ে যান৷ অপেক্ষা করেন, রোবোট কখন আসবে অথবা জিগ্যেস করেন, খাবারের ট্রেগুলো কখন নিয়ে যাওয়া হবে৷ যাতে তারা সেটা দেখতে পারেন৷''

মাল-বওয়া রোবোটগুলোর কল্যাণে ২০টা লোকের কাজ বেঁচে গেছে – অবশ্য কারো চাকরি না খেয়ে৷ কেননা লক্ষ্য ছিল অন্য, আউগুস্টা হাসপাতালের মানবসম্পদ বিভাগের মোনিকা বর্গগ্রেবে যা বললেন: ‘‘একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স পাওয়া আজকাল খুব সহজ নয়৷ তার ওপর যদি এই সব নার্সদের দিয়ে এমন সব কাজ করানো হয়, যার সাথে পেশেন্টদের পরিচর্যার কোনো সম্পর্ক নেই, যেমন জিনিসপত্র আনা – তাহলে সেটা একটা অপ্রয়োজনীয় কাজ৷ সেক্ষেত্রে দেখতে হয়, কাজটা আর কারোকে দিয়ে করানো যায় কিনা৷ যা আমরা রোবোটদের দিয়ে করাচ্ছি৷''

শীঘ্রই পেশন্টদের রক্তচাপ বা জ্বর মাপার মতো দৈনন্দিন কাজে রোবোটদের সাহায্য নেওয়া হবে৷ সিস্টার টেম্পারেচার মাপবেন, কিন্তু সেটা নথিবদ্ধ করার কাজ করবে রোবোট, স্বয়ংক্রিয়ভাবে৷ কাজেই নার্সের হাতে পেশেন্টদের জন্য আরো বেশি সময় বাঁচবে৷৷

ডান  হিয়র্শফেল্ড/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান