1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোজিনার জামিন নিয়ে আদেশ রোববার

২০ মে ২০২১

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন নিয়ে আদেশ দেওয়া হবে আগামী রোববার৷ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিন শুনানি শেষে একথা জানান আদালত৷

https://p.dw.com/p/3tflp
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন নিয়ে আদেশ দেওয়া হবে আগামী রোববার৷ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিন শুনানি শেষে একথা জানান আদালত৷
মঙ্গলবার রোজিনাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়ছবি: Mahmud Hossain Opu/AP Photo/picture alliance

আদালতে রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানিতে অংশ নেন তার আইনজীবীরা৷ আদালতের সামনে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মীরা ৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন সেখানে৷ রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম ও স্বজনেরা আদালতের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন৷ 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে৷ ডিবির রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক প্রথম গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটির তদন্তভার তারা পেয়েছেন এবং শাহবাগ থানা থেকে নথিপত্র বুঝে নেবেন৷ 

গত মঙ্গলবার পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে৷ রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবীরা৷ শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন এবং রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন৷ সেদিন আদালতের নির্দেশে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷

সাংবাদিক রোজিনার গ্রেফতার ও আইন

রোজিনার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী প্রথম আলোকে গতকাল বলেন, রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন বলে আইনমন্ত্রী ইতিমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন৷ জামিন চেয়ে তার করা আবেদনের আজ বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি শুনানির দিন ধার্য রয়েছে৷ তিনি বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন নারী, তিনি অসুস্থ, সর্বোপরি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ৷ জামিন অযোগ্য অপরাধের উপাদান এজাহারে প্রকাশিত না হওয়ায় রোজিনা ইসলাম জামিন পাওয়ার যোগ্য৷  

রোজিনা ইসলাম গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাঁকে একটি কক্ষে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়৷ পরে তাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাত ৯টার দিকে রোজিনাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷  

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের  বিরুদ্ধে সে রাতেই শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়৷ মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য