রোহিঙ্গা শিশুদের পড়াশোনা, ধর্মচর্চা ও চিকিৎসা
জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা ত্যাগ করেছেন মাতৃভূমি৷ বাংলাদেশে কিভাবে হচ্ছে তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনা আর নিজেদের ধর্মচর্চা? কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে তোলা ছবি দিয়েই তা জানাচ্ছেন জীবন আহমেদ৷
১ম শ্রেণি শেষ করেছে আয়াছ
নয় বছর বযসি মো. আয়াছ-ও শরণার্থীর ঢলের সাথে জীবন বাঁচাতে চলে এসেছে বাংলাদেশে৷ অল্প বয়সেই সাক্ষী হয়েছে বিভৎসতার, নিষ্ঠুরতার৷ তারপরও থেমে থাকেনি আয়াছ৷ এক বছরে শেষ করেছে প্রথম শ্রেণির পড়াশোনা৷ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত ‘মুক্তি’ স্কুলে লেখাপড়া করা আয়াছ মেধার পরিচয়ও দিচ্ছে শ্রেণীকক্ষে, জানালেন শিক্ষকরা৷
ডাক্তার হবে উম্মে হাবিবা
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে ৬ বছরের উম্মে হাবিবা৷ স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হাবিবা ক্যাম্পের স্কুলের দৈনিক তিন শিফটের কোনোটিই বাদ দিতে চায় না৷ ইংরেজিতে ছড়া ও অক্ষর লিখতে শিখেছে ইতিমধ্যে৷ হাবিবা পড়ালেখায় ভালো এবং মনোযোগী বলে জানিয়েছেন তার শিক্ষকেরা৷
রোহিঙ্গা শিশুদের ইংরেজি পড়ান নাহিদা
রোহিঙ্গা তরুনী নাহিদা নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে৷ নিজ দেশ ছেড়ে এসেও থেমে নেই তিনি৷ বর্তমানে একটি এনজিও পরিচালিত স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেন৷ চেষ্টা করছেন রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে৷
রোহিঙ্গা শিশুদের ধর্ম শিক্ষা
সাত লাখেরও অধিক রোহিঙ্গার ধর্ম শিক্ষার জন্য মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেছে বিভিন্ন এনজিও৷ রোহিঙ্গা মুসলিম শিশুদের মাদ্রাসায় পড়ার আগ্রহই বেশী৷ অন্যদিকে মসজিদগুলোতে বয়স্কদের নামাজ পড়ার জন্য রয়েছে ভালো ব্যাবস্খা৷
মা-বাবা নেই, তাই এতিমখানায়
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থাপিত বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই রয়েছে এতিমখানা৷ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে মা-বাবা হারানো সন্তানদের ঠাঁই হয়েছে এ এতিমখানাগুলোতে৷ এতিমখানাগুলোতে সবাই মিলেমিশে মা-বাবা হারানোর শোক ভোলার চেষ্টা করে তারা৷
স্থানীয় চিকিৎসা
ঝার-ফুঁক আর ওঝা দিয়ে জীন তাড়ানোর সংস্কারও আছে রোহিঙ্গাদের মধ্যে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক বৈদ্য আগুন দিয়ে একজন ‘রোগীর উপর ভর করা জীন’ তাড়ানোর চেষ্টে করছেন৷ তিনি একজন পেশাদার বৈদ্য৷ জীন তাড়ানো বাবদ প্রতিবার তিনি তিন হাজার এক টাকা করে নেন৷