1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অলিম্পিক চ্যালেঞ্জ

২১ জুলাই ২০১২

লন্ডন অলিম্পিক পার্কে ইফতারের সময় খেজুর এবং টাটকা দুধ পাওয়া যায়৷ মুসলিম ক্রীড়াবিদ, কর্মী, কর্মকর্তা এবং দর্শনার্থীরা যাতে সময়মত ইফতার করতে পারেন সেজন্য এই আয়োজন৷

https://p.dw.com/p/15ck0
Employees stand behind a counter for halal food, which means that it is permissible according to islamic laws, at the canteen for Athletes in the Whistler Athletes Village in advance of the Vancouver 2010 Olympic Games in Whistler, Canada 10 February 2010. EPA/Peter Kneffel +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture alliance / dpa

অলিম্পিকে খাদ্য সরবরাহ বিভাগের প্রধান টম ব্যারেট এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘‘আমি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম৷ অনেক চিন্তা করে এসব পরিকল্পনা করা হয়েছে৷''

অলিম্পিক গেমসের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারে ব্যাপক বৈচিত্র্য রাখা হয়েছে৷ ভোদকা চিকেন থেকে শুরু করে এশিয়ান মেন্যু, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার অথবা ‘বেস্ট অফ ব্রিটেন' -- সবই রয়েছে খাদ্য তালিকায়৷ সাকুল্যে ৪৬০ পদের খাবার পাওয়া যাচ্ছে ক্যান্টিনে৷ অবস্থা এমন যে, এক ধরনের খাবার দ্বিতীয়বার খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না৷

শুক্রবার রাত থেকেই ইফতারের সময় ক্যান্টিনে রাখা শুরু হয়েছে খেজুর এবং টাটকা দুধ৷ ব্যারেট জানান, ‘‘ আমদের কেন্টিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধর্ম ও ভোজনপ্রনালী অনুসরণ করেই খাদ্য তালিকা সাজানো হয়েছে৷ তাছাড়া সারারাতই গরম খাবার পাওয়া যাচ্ছে৷''

লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নেওয়া সাড়ে দশ হাজার ক্রীড়াবিদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা তিন হাজার৷ পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানরা সারাদিন রোজা পালন করে৷ অর্থাৎ সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্তের আগ অবধি সকল প্রকার খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকে মুসলমানরা৷ এটাই ধর্মীয় রীতি, তবে ক্ষেত্রবিশেষে ব্যতিক্রম রয়েছে৷

বলাবাহুল্য, রমজানের এই পবিত্র মাসে অলিম্পিক আয়োজনের সমালোচনা করছেন কেউ কেউ৷ লন্ডনভিত্তিক ইসলামিক হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান মাসুদ সাদজারেহ এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘তারা বড়দিনের উৎসবের সময় এটা আয়োজন করত না৷ একইভাবে রমজানের সময় এই (অলিম্পিক) আয়োজন মুর্খতার পরিচয়৷''

তবে ‘মুসলিম কাউন্সিল অব গ্রেট ব্রিটেন'-এর ইমাম শেখ ইব্রাহিম মগরা'র বক্তব্য ভিন্ন৷ তিনি বলেন, ‘‘একজন মুসলমান হয়ত মনে করতে পারেন, এই মাসে এসব আয়োজন না করলেই ভালো হত, কিন্তু রমজানের সময় রোজা পালন সত্ত্বেও মুসলমানদের জীবন থেমে থাকে না৷''

অলিম্পিকের কারণে কোন কোন ক্রীড়াবিদ অবশ্য রোজা রাখা থেকে বিরতও থাকছেন৷ লন্ডন অলিম্পিক দলের ক্রীড়াবিদ মোহাম্মদ শাবি রোজা পালন করছেন না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি রোজা পালন করছি না৷ এটা আমার এবং আমার পরিবারের একান্ত সিদ্ধান্ত৷'' মরক্কান বংশোদ্ভূত এই খেলোয়াড় অবশ্য ভিন্ন এক উদ্যোগ নিয়েছেন৷ রোজা পালন করতে না পারায় তিনি মরক্কোতে ১,৮০০ গরিব মানুষকে নিজের খরচে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ এরফলে আমি মনে করছি, আমি কিছু একটা করতে পেরেছি৷ তারপরও রোজা পালনের বিষয়টি মিস্ করছি৷''

এআই / এএইচ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য