1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোজা

২০ জুলাই ২০১২

জার্মানিতে রোজার মাস শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে৷ ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি হচ্ছে রোজা৷ রোজা পালন তাই মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক৷ তবে জার্মানির চার মিলিয়ন মুসলমানের কাছে এটি এক চ্যালেঞ্জও৷

https://p.dw.com/p/15c3s
ছবি: AP

চলতি বছর রোজা পালন করতে চাইলে মোটামুটি ১৮ ঘণ্টা সব ধরনের খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে৷ এটিই হচ্ছে জার্মানির বাস্তবতা৷ কর্মজীবী অথবা তরুণদের জন্য এত দীর্ঘ সময় রোজা রাখা তাই একটু কঠিন৷ যদিও অনেক মুসলমান দীর্ঘ সময়ের এই খাদ্য বিরতিকে কোনো বাধা হিসেবে মানতে রাজি নন৷ এদেরই একজন লাভা মুস্তফা৷ তিনি বললেন, ‘‘আমি অনেকবার রোজা রেখেছি এবং এটি এমন কোনো কঠিন কাজ নয়, যে ছেড়ে দিতে হবে৷ এটি একটি ঐতিহ্যের ব্যাপার৷''

শুক্রবার জার্মানিতে সেহেরির শেষ সময় ছিল ভোর ৩.৩৪ মিনিট৷ ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী, সেহেরির পর ইফতার পর্যন্ত পানীয় বা খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়৷ শুধু উপবাস নয়, সঙ্গে নিয়মিত প্রার্থনায় যোগদানও গুরুত্বপূর্ণ৷ আর কাজের বিষয়টি তো থাকছেই৷ জার্মানিতে চলতি বছর যে সময়ে রোজা চলছে, সেই সময়ে গরমও পড়ছে বেশি৷ গরমের সঙ্গে বাড়ে পানির তৃষ্ণা৷ তবে উপবাসের বিষয়টি বাদ দিলেও একটু কঠিন কাজ যারা করছেন, তাদের জন্য চলতি বছর রোজা পালন একটু কষ্টকর হবে৷ উম্মে আজিজের কথাই ধরা যাক৷ ৩৩ বছর বয়সি এই মুসলিম নারী জার্মানিতে রয়েছেন ১৫ বছর ধরে৷ জার্মানিতে আসার পর প্রথম দিকে তিনি নিয়মিত রোজা পালন করতেন৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কষ্টকর হয়ে উঠছে তাঁর কাছে৷

Ramadan 2011 Fastenbrechen in Berlin
জার্মানিতে ইফতারছবি: picture-alliance/dpa

তিনি বললেন, ‘‘চলতি বছর একসঙ্গে সবদিক সামলানো অনেক কঠিন হবে৷ শিশুদের খেয়াল রাখা, তাদের স্কুলের সময়সূচির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, কাজ, কেনাকাটা৷ আমি সাধারণত দুপুরের পর রেস্তোরায় কাজ শুরু করি৷ বিকেলে ইফতার তৈরির দিকে মনোযোগী হতে হয়৷ আমাদের খদ্দেরদের অনেকেই আরব৷ তারা রোজার শেষে এখানে খেতে আসেন৷ তারপরও আমি আশা করি, শেষ অবধি রোজা পালন করতে পারবো৷''

বলা বাহুল্য, কষ্ট হলেও রোজা পালন অব্যাহত রাখতে চান উম্মে আজিজ৷ জার্মানিতে আসার পর মাঝে কয়েকবছর রোজা পালনে অনিয়মিত ছিলেন তিনি৷ কিন্তু এখন আর তেমনটা চান না৷ কারণ হচ্ছে তাঁর সন্তান৷ রোজা পালন না করলে, এ মাসের শেষের দিকে খারাপ লাগবে তাঁর৷ কারণ রমজানের শেষে ঈদ পালন করেন মুসলমানরা৷ ঈদটা তিনি সবাইকে নিয়ে গর্বের সঙ্গেই পালন করতে চান৷

প্রতিবেদন: উলরিকা হুমেল / এআই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ