1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেস্তোরাঁয় খেলে বিশাল ছাড়

৯ আগস্ট ২০২০

করোনা সংকটের ফলে বিপর্যস্ত রেস্তোঁরাগুলির সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ব্রিটেনের সরকার৷ সপ্তাহে তিন দিন প্রায় অর্ধেক দামে বাইরে খাবার সুযোগ করে দিতে এক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3ggWc
ছবি: picture-alliance/empics/Y. Mok

করোনা সংকটের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে শিল্প ও বাণিজ্য জগতের অসংখ্য ক্ষেত্র৷ এমন অনিশ্চয়তার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চরম বেকারত্বের আশঙ্কা বাড়ছে৷ বিভিন্ন দেশের সরকার ভর্তুকি ও অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্রেতা ও ভোক্তাদের আরও ব্যয় করতে উৎসাহ দিচ্ছে৷ ব্রিটেনের সরকারের এমনই এক উদ্যোগ বেশ নজর কাড়ার মতো৷

হোটেল-রেস্তারাঁয় মানুষকে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটেনের সরকার ‘ইট টু হেল্প আউট’ কর্মসূচি চালু করেছে৷ এর আওতায় প্রায় অর্ধেক দামে খাদ্য ও পানীয় পাওয়া যাচ্ছে৷ গত সোমবার প্রথমবার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ঠিক কত মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

তবে সরকারি এই কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে৷ আপাতত ৩রা আগস্ট থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত এর মেয়াদ স্থির করা হয়েছে৷ এর আওতায় প্রতি সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে সর্বোচ্চ ১০ পাউন্ডের ছাড় পাওয়া যাবে৷ যতবার খুশি মানুষ বাইরে খেতে যেতে পারেন৷ নির্দিষ্ট দিনগুলিতে প্রতি বার এই ছাড় পাওয়া যাবে৷ তবে সস্তায় মদ্যপানের সুযোগ কিন্তু থাকছে না৷ অর্থাৎ ছাড় পেতে হলে পানীয় হিসেবে মদের বিকল্প বেছে নিতে হবে৷ ‘সার্ভিস চার্জ’ বা পরিষেবা সংক্রান্ত মাসুলের ক্ষেত্রেও ছাড় পাওয়া যাবে না৷

গোটা দেশজুড়ে প্রায় ৭২,০০০ ক্যাফে, বার, রেস্তোরাঁ, পাব, ক্যান্টিনসহ খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সরকারের এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে৷ এই উদ্যোগের ব্যয়ের অঙ্ক প্রায় ৫০ কোটি পাউন্ড ছুঁতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এ কথা জানিয়েছেন৷

শুধু আর্থিক ছাড়ের টানে কত মানুষ ঘর ছেড়ে রেস্তোরাঁয় বসে খাবার সাহস পাবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে৷ বর্তমানে ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে অনেক মানুষই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া প্রকাশ্যে বের হচ্ছেন না৷ ২৩ বছর বয়সি ম্যাট হ্যাডলি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রায় অর্ধেক দামে ইংলিশ ব্রেকফাস্ট খাবার সুযোগ পেলেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়িয়ে চলা তাঁর কাছে অত্যন্ত জরুরি৷ তাঁর মতে ভারসাম্য খুঁজতে গেলে শেষ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাড়ের তুলনায় সুস্থ থাকার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিতে হয়৷

ম্যাটের মতো ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এমন ঝুঁকি নিতে না চাইলে এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান